বিহারের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬.১১ শতাংশ (প্রায় ৮০ লক্ষ) স্নাতক রয়েছেন। তার মধ্যে ORC (Other Reported Classes)-দের মধ্যেই স্নাতকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই সম্প্রদায়ের মোট জনসংখ্যার ১৩.৪৫ শতাংশ (মোট ২৪,৫৩৪ জন) মানুষের স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে রাজ্য বিধানসভায় পেশ হওয়া একটি পূর্ণাঙ্গ জাতি সমীক্ষার রিপোর্টে।
মঙ্গলবার রাজ্যের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরীবিহার বিধানসভায় রাজ্যের জাতিগত সমীক্ষার একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করেছেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতিগত দিক থেকে মোট জনসংখ্যার মধ্যে শতকরা সর্বাধিক স্নাতকদের হিসেবে ওআরসিদের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তথাকথিত উচ্চবর্ণ বা অসংরক্ষিত শ্রেণী (General Caste)। মোট ২৬,৯৫,৮২০ জন স্নাতক রয়েছে সাধারণ শ্রেণীতে, সংখ্যাটা সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর মোট জনসংখ্যার ১৩.৪১ শতাংশ। অন্যদিকে, মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩.০৫ শতাংশ স্নাতক নিয়ে এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে তফশিলি জাতি।
গত ২ অক্টোবর প্রথমবার এই জাতিগত সমীক্ষার প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রকাশ করা হয়।এরপর সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়েই মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভাতে সেই রিপোর্টের পূর্ণাঙ্গ রূপ পেশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, বিহারে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে রাজ্যের মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৮২ শতাংশের কাছে। সংখ্যার বিচারে যা মাত্র ১০ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭০০। মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৭ শতাংশের (৯৫,৩৯৮ জন) কাছে রয়েছে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট-এর ডিগ্রি-সহ পিএইচডি ডিগ্রি।
শুধু তাই নয়, বিহারের জাতিগত সমীক্ষার রিপোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যে মাত্র ৯.১৯ শতাংশ (১,২০,১২,১৪৬ জন) মানুষই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার গণ্ডি পেরিয়েছেন। এছাড়াও মাত্র ১৪.৭১ শতাংশ (১৯,২২,৯৯,৯৭ জন) মানুষ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উতরেছেন বলে উঠে এসেছে ওই রিপোর্টে। আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১.৫৭ শতাংশ (২০,৪৯,৩৭০ জন) মানুষই সরকারের অধীনে কাজ করেন।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার-সহ অন্যান্য বিরোধীরা অনেকদিন ধরেই গোটা দেশের জাতিগত সমীক্ষা করার জন্য মোদী সরকারকে চাপ দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও কেন্দ্র তাতে সায় না দেওয়ায় নীতিশ তাঁর রাজ্যে আলাদা করে জাতিগত সমীক্ষার নির্দেশ দেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন