রিপাবলিক টিভির সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুললেন বিরোধী দলের নেতারা। তাঁদের মতে, এই ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে বড়সড় প্রশ্নের মুখে জাতীয় সুরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য। টিআরপি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে BARC-এর প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সন্ধান পায় মুম্বাই পুলিশ। ৫০০ পাতার এই চ্যাটের স্ক্রিনশট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, যেখানে দেখা যাচ্ছে সরকারি অনেক গোপন তথ্যই আগেভাগে জেনে যাচ্ছেন অর্ণব গোস্বামী।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ট্যাগ করে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ট্যুইটারে লেখেন, "এক সাংবাদিক (এবং তাঁর বন্ধুরা) বালাকোট শিবিরে প্রতিশোধমূলক হামলার তিনদিন আগে থেকেই এই বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন, একথা কি সত্যি? যদি সত্যি হয়, তাহলে কী গ্যারান্টি আছে যে এঁদের 'সূত্র' পাকিস্তানের হয়ে যারা কাজ করছে তাদের কাছে এই গোপন খবর পাচার করে দেবে না? "ফর ইওর আইজ অনলি" সিদ্ধান্ত কীভাবে সরকার সমর্থিত সাংবাদিকের কাছে গেল, রাজনাথ সিংজী?"
কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি এই বিষয়টির জেপিসি তদন্তের দাবি তুলেছেন। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, "মিডিয়াতে যে বিষয়টা দেখানো হচ্ছে তা যদি সত্যি হয়, তাহলে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল, এটা সেই দিকেই ইঙ্গিত করে। তাহলে কি ভোটের জন্য জাতীয় সুরক্ষাকে ব্যবহার করা হয়েছিল? যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা উচিত।"
এছাড়াও জয়রাম রমেশ, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কার্তি চিদাম্বরমের মতো কংগ্রেস নেতারাও এই বিষয়টি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এই বিষয়ে এখনও কোনো প্রশ্ন তোলা না হলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ স্থানীয় নেতা জানিয়েছেন, "দল সঠিক সময়ে এই বিষয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে জবাব চাইবে। বিষয়টি নিয়ে হইচই করার এটা সঠিক সময় নয়।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন