শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা ৪৫ মিনিট বৈঠক হয় তাঁদের।
সূত্রের খবর, রাজ্যের বিপুল বকেয়া সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদীর সাথে কথা হয়েছে মমতার। পাশাপাশি আগামী ৭ আগস্ট, রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকেও অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের নীতি আয়োগের সভাগুলি এড়িয়ে গেছেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি রাজ্যগুলির জন্য উপকারী কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
প্রসঙ্গত, মমতার দিল্লি সফর প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এর আগে অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডাকে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদি দিল্লিতে তৃণমূল নেত্রীর সাথে আলাদা বৈঠক করেন, সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা-কর্মীদের মনোবল আঘাত পাবে। সারা রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি যে লড়ছে তা গুরুত্বহীন হয়ে যাবে। তাই তাঁদের দাবি, নরেন্দ্র মোদী যেন মমতার সাথে আলাদাভাবে দেখা না করেন। কিন্তু বাস্তবে তা কোনওভাবেই প্রতিফলিত হল না।
মোদী-মমতা সাক্ষাৎ নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি। সারদা-নারদা কেলেঙ্কারির উদাহরণ তুলে তৃণমূল-বিজেপির আঁতাত আছে বলে আগে থেকেই অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস-সিপিআইএম। তাদের বক্তব্য, একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপে আছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। তাই মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি গেছেন সেটিং করতে। তবে তৃণমূলের দাবি, জিএসটি বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করছেন মমতা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন