বাম-কংগ্রেস বাদ দিয়ে বিরোধী ঐক্য সম্ভব না। সারা ভারতব্যাপী বিজেপিকে পরাস্ত করতে হলে বাম-কংগ্রেস সহ সকল বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত আবশ্যক। সেটিই হবে বিরোধীদের প্রধান ফ্রন্ট। সেটা করতে পারলে নির্বাচনে বিরোধীদেরই জয়লাভ হবে। বিজেপির বিভেদের রাজনীতি ধ্বংস করবে সাধারণ মানুষ। হরিয়ানার জনসমাবেশ থেকে স্পষ্ট জানালেন বিরোধীরা।
রবিবার হরিয়ানার ফতেহাবাদে বিজেপি বিরোধী এক বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের ডাক দিয়েছিল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমার, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, আকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদল, শরদ পাওয়ার প্রমূখ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই সমাবেশে যোগদান করেনি তৃণমূল।
নীতিশের কথায়, বিজেপি নিজের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য দেশকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছে। তাই বৃহত্তর ঐক্যের জন্য কাজ করতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পাটনার সমাবেশে দাবি করেছিলেন, ২০২৪-র লোকসভা ও ২০২৫-র বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে বিজেপি জিতবে। কিন্তু বিহারে ৭টি দল একজোটে আছে, সেখানে বিজেপির কোনও সঙ্গী নেই। কিন্তু শুধু বিহার না, গোটা দেশ থেকেই বিজেপিকে মুছে ফেলতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন - কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের বাদ দিয়ে বিরোধী ঐক্য হবে না। বৃহত্তর ঐক্যের জন্য কাজ করতে হবে।
রবিবারের সমাবেশ থেকে তেজস্বী যাদব বিজেপিকে 'বড়কা ঝুটা পার্টি' আখ্যা দেন। তাঁর কথায়, অমিত শাহ পূর্নিয়ায় গিয়ে বললেন সেখানে বিমানবন্দর তৈরী হয়েছে। অথচ সেখানে কোনও বিমানবন্দরই নেই। কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কেন্দ্রের সরকার তা পালন করেনি। বিজেপি যখন বিরোধী ছিল তখন 'মেহেঙ্গাই'-কে বলত 'ডাইন'। এখন সেটা হয়ে গেছে 'বহুজী'।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি চায় না মানুষের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হোক, তাই মন্দির-মসজিদ-পাকিস্তান এসবে মেতে আছে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দিয়ে সেনাবাহিনীতে ঠিকায় নিয়োগ করছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন