কার্নালের প্রাক্তন এসডিএম আয়ুষ সিনহার শাস্তির দাবিতে করা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নিলেন কৃষকরা। এর ফলে কৃষক এবং হরিয়ানার বিজেপি সরকারের মধ্যে চলা এক সপ্তাহব্যাপী অচলাবস্থার অবসান হলো। উভয় পক্ষই আয়ুষ সিনহার বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। প্রাক্তন বিচারপতির তত্ত্বাবধানে এই তদন্ত করা হবে। এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। ততদিন অভিযুক্ত আইএএস অফিসার ছুটিতে থাকবেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কার্নালের মিনি সেক্রেটারি অফিস ঘেরাও করে রেখেছিলেন কৃষকরা। গত ২৮ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো কৃষকদের ওপর পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এই ঘেরাও করেছিলেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি ছিল কৃষকদের মাথায় সজোরে লাঠি মারার নির্দেশ দেওয়া SDM আয়ুষ সিনহাকে বরখাস্ত করতে হবে। প্রশাসন তাঁদের দাবি মানে নি।
হরিয়ানা ছাড়াও পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ থেকেও বহু কৃষক এই ঘেরাওয়ে যোগ দিয়েছিলেন। আন্দোলনের তীব্রতা এতোটাই ছিল সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল প্রশাসন, গতকাল তা চালু করা হয়েছে।
প্রশাসনের সাথে কৃষক প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাঁরা আয়ুষ সিনহাকে বরখাস্তের দাবি তুললেই সেই বৈঠক ভেঙে দেয় প্রশাসন বলে অভিযোগ করেছিলেন কৃষক নেতারা। গতকালের পর আজ ফের প্রশাসনের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন কৃষকরা। সেখানেই ঠিক হয় প্রাক্তন বিচারপতি দ্বারা আয়ুষ সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। তদন্তে তাঁর অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্টের ঘটনায় ১০ জন কৃষক গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে একজন ওইদিন রাতেই হাসপাতালে মারা যান।
এই লাঠিচার্জের ঘটনার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় আয়ুষ সিনহার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে পুলিশকে কৃষকদের মাথায় লাঠি দিয়ে সজোরে মারার নির্দেশ দিতে দেখা গেছে তাঁকে। এই ভিডিও নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হওয়ার পরই আয়ুষ সিনহাকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় পুলিশ এবং SDM-কেই সমর্থন করেছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ বলে ওইদিনই দাবি করেছিলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন