ভুল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়ে গিয়েছিল। তুলে নেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞপ্তি। চাপের মুখে পড়ে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে একথা জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গতকাল রাতেই কেন্দ্রের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বল্প সঞ্চয় এবং পিপিএফ-এর ক্ষেত্রে সুদ কমানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিল অর্থমন্ত্রক। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত বদল করে সুদ অপরিবর্তিত থাকার কথা জানালো কেন্দ্র।
আজ সকালে নিজের ট্যুইটারে অর্থমন্ত্রী লেখেন, "ভারত সরকারের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে ২০২০-২১ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে সুদের হার যা ছিল, সেই হারই অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ গত মার্চ পর্যন্ত যে সুদের হার ছিল তাই বহাল থাকবে। ভুলবশত জারি করা বিজ্ঞপ্তি তুলে নেওয়া হবে।"
গতকাল কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, সেভিংস ডিপোজিটে যেখানে বছরে ৪ শতাংশ সুদ পাওয়া যেত তা কমে হচ্ছে ৩.৫ শতাংশ।
১ বছরের ডিপোজিটের ত্রৈমাসিকে সুদের হার ছিলো ৫.৫ শতাংশ। যা কমে হচ্ছে ৪.৪ শতাংশ।
২ বছরের ডিপোজিটের ত্রৈমাসিকে সুদের হার ছিলো ৫.৫ শতাংশ। যা কমে হচ্ছে ৫ শতাংশ।
৩ বছরের ডিপোজিটের ত্রৈমাসিকে সুদের হার ছিলো ৫.৫ শতাংশ। যা কমে হচ্ছে ৫.১ শতাংশ।
৫ বছরের ডিপোজিটের ত্রৈমাসিকে সুদের হার ছিলো ৬.৭ শতাংশ। যা কমে হচ্ছে ৫.৮ শতাংশ।
৫ বছরের রেকারিং ডিপোজিটের ত্রৈমাসিকে সুদের হার ছিলো ৫.৮ শতাংশ। যা কমে হচ্ছে ৫.৩ শতাংশ।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কীমে সুদের হার ছিলো ত্রৈমাসিকে ৭.৪ শতাংশ। যা কমে হচ্ছে ৬.৫ শতাংশ।
মান্থলি ইনকাম স্কীমে সুদের হার ছিলো ৬.৬ শতাংশ। যা কমে হচ্ছে ৫.৭ শতাংশ।
এনএসসি তে বার্ষিক সুদের হার ছিলো ৬.৮ শতাংশ। যা কমে হচ্ছে ৫.৯ শতাংশ।
পিপিএফ-এ বার্ষিক সুদের হার ছিলো ৭.১ শতাংশ। যা কমে হচ্ছে ৬.৪ শতাংশ।
কিষাণ বিকাশ পত্রে বাৎসরিক সুদের হার ছিলো ৬.৯ শতাংশ (১২৪ মাস)। যা কমে হচ্ছে ৬.২ শতাংশ এবং মেয়াদ বেড়ে ১৩৮ মাস।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় সুদের হার ছিলো বাৎসরিক ৭.৬ শতাংশ। যা কমে হচ্ছে ৬.৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১ এপ্রিল অর্থাৎ আজ থেকে এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে সর্বত্র। চাপের মুখে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন