পাইকারি বাজারের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ওপর কোনও প্রভাব ফেলে না। এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তিনি অবশ্য পেয়াঁজের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির সময় জানিয়েছিলেন, তিনি পেয়াঁজ খান না। তাঁর এই গা-ছাড়া মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেই সময়।
আর বর্তমান মূল্যবৃদ্ধিতে যেভাবে সাধারণ মানুষ নাজেহাল হচ্ছেন, সেই পরিস্থিতিতে তাঁর এই উবাচ হাতিয়ার করল বিরোধীরা। সংসদে বিরোধীরা পাইকারি মূল্যসূচক লাগাতার বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। সূচক বাড়তে বাড়তে পৌঁছেছে ডবল ডিজিটে। সরকারের পদক্ষেপ কী? অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়ে দিলেন, পাইকারি মূল্যসূচক নিয়ে সাধারণ মানুষ ভাবেন না। মানুষের চিন্তা খুচরো বাজারের দাম নিয়ে।
বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন, তাহলে অর্থমন্ত্রী মনে করছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে খুচরো বাজারে তার প্রভাব পড়ে না। এরকম বিস্ময়কর তত্ত্ব উনি কীভাবে দিলেন? সংসদে এবার প্রথম থেকেই মূল্যবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান নিয়ে নাজেহাল অবস্থা মোদি সরকারের।
বিরোধীদের অভিযোগ, এবার বাজেটে সামাজিক উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি প্রকল্পে বরাদ্দ কমাল কেন? অর্থমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, একশো দিনের প্রকল্পে কাজের চাহিদার উপর বরাদ্দ নির্ভর করে। কাজের চাহিদা বাড়লে বরাদ্দও বাড়বে।
এবারের বাজেটে খাদ্য ও সারে ভর্তুকি কমানো হয়। সেই প্রসঙ্গে তাঁর সাফাই, গত বছর বরাদ্দের সঙ্গে পরে যুক্ত হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী অন্ন যোজনা প্রকল্প। ফলে বরাদ্দ বেশি হয়।
এদিকে, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকার এতটাই দিশাহারা যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গেও পার্থক্য প্রকট হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, তাদের ধারণা, আগামী আর্থিক বছরের শেষে মুদ্রাস্ফীতির হার সাড়ে ৪ শতাংশে পৌঁছবে। এদিকে অর্থমন্ত্রী লোকসভায় বললেন, মুদ্রাস্ফীতির হার ৩ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশের মধ্যে থাকবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন