নয়াদিল্লি, ২৩ ফেব্রুয়ারি: বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদ করলেই যুব সমাজকর্মীকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ৩৫০-র বেশি শিক্ষাবিদ ও গবেষক। বিশেষ করে দলিত সম্প্রদায়ের যুব প্রতিবাদকারীরাই কেন্দ্রীয় সরকারের কোপে পড়ছেন। বিবেকবান এইসব নাগরিকরা কথা বলতে গেলেই তাঁদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বেঙ্গালুরু থেকে ২২ বছরের পরিবেশকর্মী দিশা রবিকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ।এর আগে দলিত শ্রম অধিকার কর্মী নোদীপ কউরকে গ্রেপ্তার করা হয় সিঙ্ঘু সীমান্ত থেকে। তিনিও বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন আইনি সংগঠন, রাজ্য সরকারগুলো শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, কৌতুকশিল্পীদের প্রতিবাদকে বন্ধ করতে এমন পদক্ষেপ করে আসছে। ভারত সরকার তথা দেশের নেতারা সবসময় পরিবেশ এবং মানবাধিকারের কথা বলেন গ্লোবাল ফোরামগুলোতে। কিন্তু দেশের মধ্যে নিজেরাই যুব সমাজের মুখ বন্ধ করার সবরকম চেষ্টা করে আসছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গণতন্ত্রের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, অবিচারের প্রতি যুব সমাজ প্রশ্ন করবে, প্রতিবাদ জানাবে।কিন্তু সম্প্রতি এইসব যুব সমাজের আওয়াজ বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র।এক সন্দেহর পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে, ভয় সৃষ্টি করা হচ্ছে যুব সমাজের ভিতরে। কোনওরকম জটিল আলোচনাতেই যেতে চাইছে না সরকার। আমাদের এমন এক পরিবেশ তৈরি করা উচিত যেখানে যুব সম্প্রদায় বিনা ভয়ে প্রশ্ন করতে পারে। এবং গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং মানবাধীকারের পক্ষে দাঁড়ানোর স্বাধীনতা পেতে পারে। এমনকি- রবি, কউরের মতো সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবিও করেছেন ওয়াকিবহাল মহল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন