দেশের হাইকোর্টগুলিতে গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৭১ হাজারেরও বেশি মামলা। আবার নিম্ন আদালতগুলিতে ৩০ বছরেরও পুরনো ১ লক্ষাধিক (১,০১,৮৩৭) অমীমাংসিত মামলা রয়েছে। শুক্রবার লোকসভায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া প্রশ্নের লিখিত জবাব দিতে গিয়েই এমনটা জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত ২০ জুলাই রাজ্যসভায় আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট, ২৫টি হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালত মিলিয়ে দেশের বিভিন্ন আদালতে এই মুহূর্তে অমীমাংসিত মামলার সংখ্যা ৫.০২ কোটিরও বেশি। তাঁর বক্তব্য, “সুপ্রিম কোর্টের তরফে ইন্টিগ্রেটেড কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমআইএস) থেকে পুনরুদ্ধার করা তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র দেশের শীর্ষ আদালতে ১ জুলাই পর্যন্ত অমীমাংসিত মামলার সংখ্যা ৬৯,৭৬৬।” অন্যদিকে তিনি আরও জানিয়েছেন, “ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডাটা গ্রিড (এনজেডিজি)-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের ২৫টি হাইকোর্ট এবং জেলা ও নিম্ন আদালতগুলিতে যথাক্রমে ৬০,৬২,৯৫৩টি ও ৪,৪১,৩৫,৩৫৭টি মামলা অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।”
কিন্তু দেশের আদালতগুলিতে এই পাহাড়প্রমাণ অমীমাংসিত মামলা পড়ে থাকার কারণ কী? বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, আদালতগুলিতে নতুন বিচারকের পদে নিয়োগ না হওয়া এর অন্যতম একটি বড় কারণ হতে পারে। তবে লোকসভায় শুক্রবার আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন বিচারক নিযুক্ত না হওয়া এই পাহাড়প্রমাণ মামলা বিচারের অপেক্ষায় ঝুলে থাকার একমাত্র কারণ নয়। এর পিছনে রয়েছে আরও বহু কারণ। তিনি জানিয়েছেন, আদালতে কোনও মামলার বিচার নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ে উপর। তার মধ্যে রয়েছে, সঠিক পরিকাঠামোর সহজলভ্যতা, আদালতের সহকারী কর্মীদের অভাব, মামলার সঙ্গে জড়িত তথ্যের জটিলতা, প্রমাণের প্রকৃতি, অংশীদারদের সহযোগিতা, তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ, সাক্ষ্মী ও মামলাকারী, নিয়ম ও প্রক্রিয়ার যথাযথ প্রয়োগ ইত্যাদি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন