নিউ দিল্লি টেলিভিশন (NDTV)-এর ২৯.১৮ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানি। যা নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক, রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। তবে, বড় শতাংশের অংশীদারি কিনলেও সম্পাদকীয় নীতিতে হস্তক্ষেপ করবেন না আদানি। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গৌতম আদানি বলেন - আমি একটা কথা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই। অংশীদারিত্ব থাকলেও, আমি সম্পাদকীয় নীতিতে হস্তক্ষেপ করব না। এনডিটিভি একটি বিশ্বাসযোগ্য, স্বাধীন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম হয়ে উঠবে। যার ব্যবস্থাপনা এবং সম্পাদকীয় নীতির মধ্যে স্পষ্ট লক্ষ্মণরেখা থাকবে।
চলতি বছরের নভেম্বরের শেষে এনডিটিভির পরিচালন গোষ্ঠী আরআরপিআরএইচ তাদের ৯৯.৫ শতাংশ শেয়ার আদানি গ্রুপ অধিকৃত একটি সংস্থার নামে করে দিয়েছিল। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই NDTV-র পরিচালন গোষ্ঠীর অধিকর্তার পদ থেকে ইস্তফা দেন চ্যানেলের প্রতিষ্ঠাতা প্রণয় রায় এবং তাঁর স্ত্রী রাধিকা রায়। তাঁদের সাথে ইস্তফা দেন সংস্থার সম্পদকীয় বিভাগের একাধিক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক।
শুধু তাই নয়, আদানি অধিগ্রহণের পর এনডিটিভির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এডিটরের পদ থেকে ইস্তফা দেন সাংবাদিক রবীশ কুমার। একের পর এক ঘটনাক্রম থেকেই দেশব্যাপী তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী মহল প্রশ্ন তোলে, এখন থেকে কি তাহলে মোদী-শাহের 'ঘনিষ্ঠ' আদানির জমানায় এনডিটিভি স্বাধীন সম্পাদকীয় নীতি থেকে সরে আসছে?
সেই সম্ভাবনা নাকচ করে আদানির দাবি, সময়ের সাথে সাথেই প্রমাণ হয়ে যাবে, সম্পাদকীয় নীতিতে হস্তক্ষেপের আশঙ্কা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এবং অমূলক। কোনও বিষয়ে নিজেরা সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে অন্তত কিছুটা সময় আমাদের দিন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন