ভারতে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের নিয়োগে যে ব্যবধান দেখা যায়, ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই তার অন্যতম কারণ হল- লিঙ্গবৈষম্য। যার জেরে আয়ের ক্ষেত্রেও পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে ৯৩ শতাংশ মহিলা। বৃহস্পতিবার, অক্সফাম ইন্ডিয়ার (Oxfam India) রিপোর্টে এই এমনই দাবি করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে পুরুষদের মতো শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও, সামাজিক ও নিয়োগকর্তাদের কুসংস্কারের কারণে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন মহিলারা।
অক্সফাম ইন্ডিয়ার - 'ইন্ডিয়া ডিসক্রিমিনেশন রিপোর্ট ২০২২'-এ বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে গ্রামীন এলাকায় বৈষম্যের মাত্রা সবথেকে বেশি। গ্রামীন এলাকার মহিলারা প্রায় ১০০ শতাংশ, আর শহুরে এলাকায় ৯৮ শতাংশ মহিলারা কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে স্বনির্ভর মহিলাদের তুলনায় স্বনির্ভর পুরুষরা আড়াইগুণ (২.৫) বেশি আয় করেন। এই ক্ষেত্রে ৮৩ শতাংশ লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্যের জন্য দায়ী।
সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ, একজন পুরুষ দিনমজুর মহিলা দিনমজুরের তুলনায় প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা বশি উপার্জন করেন। দিনমজুর হিসাবে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে আয়ের এই ব্যবধানের ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ দায়ী বর্ণবৈষম্য।
অক্সফাম ইন্ডিয়ার সিইও অমিতাভ বেহার এ বিষয় জানান, ‘শিক্ষার অভাব বা কর্মক্ষেত্রে কম অভিজ্ঞতার জন্য নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলারা অনেকটা পিছিয়ে পড়ছেন লিঙ্গবৈষম্যর কারণে।
সমীক্ষার এই রিপোর্ট ২০০৪-০৫ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত কর্মসংস্থান এবং শ্রম সম্পর্কিত সরকারি তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
সকল মহিলাদের সম-কাজে সম-মজুরি প্রদান এবং কাজের সুরক্ষার অধিকার কার্যকর করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত সরকারের উচিত- বেতন বৃদ্ধি, দক্ষতা বৃদ্ধি, চাকরি সংরক্ষণ এবং মাতৃত্বের পরে সহজে কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়ার বিকল্পসহ কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন