Pandora Papers: কর ফাঁকির অভিযোগে সচিন, অনিল অম্বানি সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হতে পারে তদন্ত

বিবিসি, গার্ডিয়ান সহ গোটা বিশ্বের ১৫০টি সংবাদ মাধ্যম তদন্তের কাজ চালিয়েছে। ভারত থেকে যুক্ত ছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সামনে এসেছে ২৯ হাজারের বেশি সংস্থা ও ট্রাস্টের মালিকানা সংক্রান্ত নথি।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

কর দিতে হবে না। তাই বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন। এমনই অভিযোগ উঠল প্যান্ডোরা পেপারসে নাম ওঠা সস্ত্রীক সচিন তেন্ডুলকর, অনিল অম্বানি-সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে। এরকম ৩০০ জনের বেশি ভারতীয়ের নাম উঠেছে। সচিনের নাম তো আগেই প্রকাশ্যে আসে। এবার নাম এল সচিনের স্ত্রী অঞ্জলি তেন্ডুলকর ও শ্বশুর আনন্দ মেহতার।

সোমবার প্রকাশ্যে আসা তথ্য বলছে, সচিনের স্ত্রী অঞ্জলি তেন্ডুলকর ও শ্বশুর আনন্দ মেহতার নামেও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে বিনিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু সচিনের আইনজীবী অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের সম্পত্তির ঘোষণায় কোনও অস্বচ্ছতা ও অনিয়ম নেই।

তালিকায় রয়েছেন অনিল অম্বানি, নীবর মোদির বোন পূরবী মোদি, বায়োকনের প্রতিষ্ঠাতা কিরণ মজুমদার শ-এর স্বামী জন ম্যাককুলাম মার্শাল শ, অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ ও কর্পোরেট লবিস্ট নীরা রাডিয়া।

বিবিসি, গার্ডিয়ান সহ গোটা বিশ্বের ১৫০টি সংবাদ মাধ্যম তদন্তের কাজ চালিয়েছে। ভারত থেকে যুক্ত ছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সামনে এসেছে ২৯ হাজারের বেশি সংস্থা ও ট্রাস্টের মালিকানা সংক্রান্ত নথি। প্যান্ডোরা পেপারসের অন্তর্গত ১ কোটি ২০ লক্ষ গোপন নথি প্রকাশ্যে এনেছে ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)।

রিপোর্ট অনুযায়ী, রিলায়েন্স এডিএ গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানি ও তাঁর প্রতিনিধিদের ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, সাইপ্রাস ও জার্সিতে প্রায় ১৮টি সংস্থার মালিকানা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনিল আম্বানি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন। পরে সেই দাবিতে প্রশ্ন তুলে তিন মাস পর আদালত অম্বানিকে ৭১ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার সংশ্লিষ্ট চিনা ব্যাঙ্কগুলিকে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে নীরব মোদী ভারত ছাড়ার আগেই ২০১৭ সালে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে একটি সংস্থা খুলেছিলেন বোন পূরবী। সংস্থার নাম ব্রুকটন ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

অভিনেতা জ্যাকি শ্রফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর শাশুড়ি নিউজিল্যান্ডে একটি ট্রাস্ট তৈরি করেছিলেন। সুইস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকা এই ট্রাস্টে বিশাল বিনিয়োগ করেন জ্যাকিও। পাশাপাশি ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসেও জ্যাকির একটি সংস্থা রয়েছে।

কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ কর দফতরের মুখপাত্র জানান, এই বিষয়ে তদন্ত করা হবে এবং আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত কমিটিতে থাকবেন প্রত্যক্ষ কর দফতরের চেয়ারম্যান-সহ দফতরের কয়েক জন প্রতিনিধি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং অর্থবিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in