রাহুল গান্ধীর মন্তব্য এবং আদানি ইস্যুতে দুই ট্রেজারি বেঞ্চ এবং বিরোধী সদস্যদের ক্রমাগত প্রতিবাদের মধ্যে শুক্রবার দিনের জন্য মুলতবি করা দেওয়া হল সংসদ। তুমুল হট্টগোলের মধ্যে শুক্রবার অধিবেশন শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়ই মুলতবি করে দেওয়া হয়।
বিজেপি সাংসদরা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সংসদের দুই কক্ষেই স্লোগান তোলেন। একইসময় বিরোধী সাংসদরা আদানি ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা করতে শ্লোগান দিতে থাকেন।
যদিও স্পিকার ওম বিড়লা প্রশ্নোত্তর ঘোষণা করে অধিবেশন চালানোর চেষ্টা করেছিলেন এবং কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তেওয়ারিকে তার প্রশ্ন রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু তুমুল হট্টগোলের কারণে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় ২০ মিনিট পরে তিনি অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন।
আগামী ২০ মার্চ ফের লোকসভার অধিবেশন বসবে। এই স্থগিতাদেশের ফলে সংসদের দুই কক্ষেই এই সপ্তাহে কোনোরকম কাজ করা সম্ভব হল না।
বিজেপি সাংসদদের নজিরবিহীন পদক্ষেপে বিগত কয়েকদিনে বারবার সংসদ মুলতুবি করতে হয়েছে। লন্ডনে গণতন্ত্রের বিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইবার দাবিতে বিজেপির এই বিক্ষোভ।
অন্যদিকে বিজেপি সাংসদদের পাল্টা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা আদানি এন্টারপ্রাইজ ইস্যুতে সরকারের নীরবতার প্রতিবাদ জারি রেখেছে এবং এই ঘটনায় কংগ্রেস সহ বিরোধীরা যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্তের দাবিতে এখনও অনড়। যদিও এই বিক্ষোভে যোগ দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন লোক্সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী। বৃহস্পতিবার সংসদে কথা বলার জন্য স্পীকার ওম বিড়লার কাছে সময় চেয়ে দেখা করেছিলেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, তিনি সংসদকক্ষের ভিতরে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দিতে চান। যদিও বিজেপির দাবি রাহুল গান্ধীকে আগে ক্ষমা চাইতে হবে।
এদিন, লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানতে চান, কেন বিজেপি সংসদে আলোচনা করতে ভয় পাচ্ছে।
এদিন চৌধুরী বলেন, "কেন বিজেপি সদস্যরা এখানে ওখানে কথা বলছেন? কেন তারা সংসদে আলোচনা করতে ভয় পাচ্ছেন? বিজেপি রাহুল গান্ধীকে ভয় পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ৫৬ ইঞ্চি ছাতি এখন কমে গেছে।"
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন