মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন পর্ব থেকে বাদ দেওয়া হল প্রধান বিচারপতিকে। দ্য চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড আদার ইলেকশন কমিশনারস (অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কন্ডিশনস অফ সার্ভিসেস অ্যান্ড টার্ম অফ অফিস) বিল, ২০২৩ আজই রাজ্যসভায় পেশ হবার কথা। এই বিলেই প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেবার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এই বিলের প্রস্তাব অনুসারে, এখন থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্যানেলের পাঠানো নাম রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত করবেন। ইতিমধ্যেই এই বিলের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
এই বছরের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে যে রায় দিয়েছিল নতুন এই বিলে সেই রায়কে পুরোপুরি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ প্রসঙ্গিত শীর্ষ আদালতের এক সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই রায়ে জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং ভারতের প্রধান বিচারপতির প্যানেলের প্রস্তাবিত নামের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি ওই রায়ে জানানো হয়েছিল, সংসদ যতক্ষণ পর্যন্ত না এই বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করছে ততক্ষণ এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
এই বিলের পর কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে শীর্ষ আদালতের সংঘাত আবারও প্রকাশ্যে এসে পড়লো। বিচারকদের নিয়োগ থেকে শুরু করে দিল্লি পরিষেবা আইনের মতো বিতর্কিত আইনের ক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং সুপ্রিম কোর্ট বেশ কয়েকটি ইস্যুতে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রশাসন এবং সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে মতদ্বৈধতা সামনে এসেছে। বিভিন্ন মৌলিক কাঠামো মতবাদের মতো বিষয়গুলিতেও অবস্থানে ভিন্নতা আছে। যার অর্থ সংবিধানের একটি মৌলিক কাঠামো আছে এবং যা সংসদ দ্বারা পরিবর্তন করা যায় না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন