বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার কাছ থেকে ‘পাস’ নিয়ে লোকসভার মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন হামলাকারী যুবকরা। এমনটাই জানা গেছে সূত্র মারফত।
হামলার ঘটনার পর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি জানিয়েছেন, হামলাকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পাসগুলি বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অফিস থেকে দেওয়া হয়েছিল। প্রতাপ সিমহা কর্ণাটকের মাইশুরের সাংসদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দর্শকাসন থেকে লোকসভা কক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়া দুই যুবকের মধ্যে একজনের বাড়ি মাইশুরে। বছর পঁয়ত্রিশের মনোরঞ্জন ডি নামের ওই যুবক বেঙ্গালুরুর মহীশূর বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক হয়েছেন। তাঁর বাবা মাইসুরের বিজয়নগরে থাকেন। তিনিই সাংসদের কাছ থেকে পাস যোগাড় করেন।
জানা গেছে, ধৃতদের কাছ থেকে প্রতাপ সিমহার স্বাক্ষরিত পাস উদ্ধারের পর তাঁকে তলব করেন স্পীকার ওম বিড়লা। তবে স্পীকারের কাছে এই ঘটনার কী ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।
২০১৪ সালে ৪৩.৪৬ শতাংশ ভোটে জয়ী হয়ে প্রথম সাংসদ হন প্রতাপ। ২০১৯ সালে ৫২.২৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের সাংসদ হন তিনি। ৪২ বছর বয়সী এই প্রাক্তন সাংবাদিক একাধিক কলামের জন্য সুপরিচিত। ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি জীবনীও লিখেছিলেন তিনি।
বুধবার দুপুর ১ টার সময় মনোরঞ্জন ডি এবং তাঁর সহযোগী সাগর শর্মা দর্শকদের গ্যালারি থেকে লোকসভার কক্ষে ঝাঁপ দেন। সেই সময় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বক্তৃতা দিতে শুরু করেছিলেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাগর ডেস্কের উপর লাফিয়ে লাফিয়ে স্পিকারের চেয়ারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এবং মনোরঞ্জন একটি ক্যানিস্টার থেকে হলুদ ধোঁয়া স্প্রে করছেন।
আচমকা এই ঘটনায় হুলুস্থুল পড়ে যায় সংসদ কক্ষে। রীতিমত অবাক হন তাঁরা। কারণ কোনও সাধারণ মানুষকে মূল কমপ্লেক্সে পৌঁছাতে গেলে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় অতিক্রম করতে হয়। এবং অবশ্যই কোনও সাংসদের স্বাক্ষর করা পাস থাকতে হবে দর্শনার্থীদের কাছে।
অমল শিন্ডে এবং নীলম দেবী নামে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকেও সংসদের বাইরে রঙিন ধোঁয়ার ক্যানিস্টারসহ আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা বাইরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এই চারজনকে জেরা করে আরও দুজনের কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত পরিচয় হয়েছে এই ছ’জনের। বুধবার রাতে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে পঞ্চম অভিযুক্ত বিশাল শর্মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন