বুধবার লোকসভায় পাশ হবার একদিন পরেই রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল টেলিকমিউনিকেশনশ বিল ২০২৩। বৃহস্পতিবার ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে পাশ হয় এই বিল। প্রসঙ্গত, চলতি অধিবেশনে সংসদের দুই কক্ষে ১৪৬ জন সাংসদ বর্তমানে সাসপেন্ড আছেন। যার মধ্যে রাজ্যসভায় সাসপেন্ডেড সাংসদের সংখ্যা ৪৬।
টেকক্রাঞ্চের মতে, নতুন বিল অনুসারে নিলামে অংশ না নিয়েও স্যাটেলাইট-ভিত্তিক পরিষেবাগুলির জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দের অনুমতি পাওয়া যাবে। ওয়ান ওয়েব, এলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক এবং অ্যামাজনের কুইপারের মতো সংস্থাগুলির পক্ষে যা যেতে পারে।
এই সংস্থাগুলি বিশ্বের বৃহত্তম দেশে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করতে আগ্রহী এবং দীর্ঘকাল ধরে স্পেকট্রাম বরাদ্দের জন্য নিলামের পরিবর্তে একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার পক্ষে দাবি জানিয়ে আসছিল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিল ১৮৮৫ সালের ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ অ্যাক্টের চালু থাকা নিয়মগুলির পরিবর্তে সরকারকে টেলিযোগাযোগ পরিষেবা এবং নেটওয়ার্কগুলি ব্যবহার এবং পরিচালনা করার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ট্র্যাফিক ডেটায় নজরদারি করার ক্ষমতাও প্রদান করে। এই আইনে সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগে বাধা দেওয়ার বিধিও রাখা আছে।
কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দ্বারা প্রবর্তিত এই বিলটিতে RoW-তে একটি সু-সংজ্ঞায়িত অধ্যায়ের মাধ্যমে শক্তিশালী টেলিকম নেটওয়ার্ক তৈরির উপর নজর দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে একটি অ-বৈষম্যমূলক পদ্ধতিতে এবং নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য বিবেচনা না করে RoW মঞ্জুর করা যাবে এবং এই সম্পত্তির উপর কর, সেস, ফি বা শুল্ক ধার্য করা হবেনা।
এছাড়াও জালিয়াতি কমাতে, এই বিলে গ্রাহকদের জন্য বায়োমেট্রিক প্রমাণ বাধ্যতামূলক করার বিধি আছে এবং যেকোন গ্রাহক কতগুলি সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন তাও সীমিত করা হয়েছে।
এই বিলে নির্দিষ্ট ধারা লঙ্ঘনের জন্য ১২ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত এবং আইনে সংজ্ঞায়িত শর্তাবলী এবং পরিস্থিতি লঙ্ঘনের জন্য ৬,০০,৪০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত দেওয়ানী জরিমানাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন