লোকসভার ১৪ এবং রাজ্যসভার ১ সাংসদকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করা হল। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের নেতৃত্বে সংসদের দুই কক্ষে সংসদ ভবনের নিরাপত্তার প্রশ্নে আলোচনার দাবি জানায় বিরোধীরা। যে দাবি মানা না হলে হট্টগোল শুরু হয়। এরপরেই অ সংসদীয় আচরণের জন্য সাংসদদের চলতি অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।
গতকালের ঘটনার জেরে বিরোধীদের পক্ষ থেকে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সীমার বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। জানা গেছে সংসদ ভবনের অধিবেশন কক্ষে যে দুই যুবক প্রবেশ করেছিলেন তাদের কক্ষে প্রবেশের পাশ দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সীমা।
এদিন লোকসভার যে সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাদের মধ্যে কংগ্রেসের ৯ জন, সিপিআইএম-এর ২ জন, সিপিআই-এর ১জন এবং ডিএমকে-র ২জন সাংসদ আছেন। কংগ্রেসের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা হলেন, মাণিকম ঠাকুর, মহম্মদ জাভেদ, ভি কে শ্রীকন্দন, বেণী বেহান প্রমুখ। সিপিআইএম-এর পি আর নটরাজন এবং এস ভেঙ্কটেশনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিপিআই সাংসদ কে সুব্বারায়ান-ও সাসপেন্ড হয়েছেন। ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝিকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পর এদিনের মত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করা হয়েছে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। এদিন রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সাংসদদের সাসপেনশনের প্রস্তাব পেশ করেন।
গতকালের ঘটনার পর আজ সংসদ ভবনের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। গতকালের ঘটনার জেরে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে লোকসভার ৭ কর্মীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও সাময়িকভাবে সংসদ ভবনের অধিবেশন কক্ষে দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রবেশাধিকার থাকছে না সংবাদমাধ্যমেরও।
উল্লেখ্য, গতকাল ১৩ ডিসেম্বর ছিল সংসদ হানার ২২তম বর্ষপূর্তি। ২০০১ সালে সংসদে হানাদারির ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু ঘটে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন