ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ভুবনেশ্বর এইমস থেকে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর বিষয়ে ভুবনেশ্বর এইমস-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডাঃ আশুতোষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ক্রনিক কিছু অসুখে ভুগছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর তেমন কোনো গুরুতর সমস্যা নেই। তাঁর বুকে কোনো ব্যথা নেই। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার কোনো প্রয়োজন নেই।
সোমবার সকালে হাইকোর্টের নির্দেশমতো পার্থকে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফ থেকে। তাঁর সাথে ছিলেন ব্যক্তিগত আইনজীবী ও এসএসকেমের একজন চিকিৎসক। এসএসকেএম ও জোকা ইএসআই-এর ভিন্ন রিপোর্ট থাকায় এমন রায় দিয়েছে আদালত। ভুবনেশ্বরে নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, এন্ডোক্রিনোলজি ও রেসপিরেটরি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পার্থর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন।
গত ২৩ জুলাই দীর্ঘ জেরার পর ইডি গ্রেপ্তার করে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। টানা ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের শেষে ইডি তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গত শুক্রবার ২২ জুলাই সকাল ১০ টা নাগাদ পার্থর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ইডি আধিকারিকদের একটি দল। সারা দিন এবং রাতভর জেরার পর শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূলের মহাসচিবকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে।
ইডি-র তল্লাশিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে প্রায় বাইশ কোটির বেশি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি এবং প্রাইমারি নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয়েছে প্রায় ১৪টি জায়গায়। গ্রেপ্তারের আগে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে দু’বার অসুস্থ বোধ করেন পার্থ। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক এনে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। যদিও জিজ্ঞাসাবাদ তাতে থামেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন