অরুণাচল প্রদেশের ১১ টি স্থানের নাম পরিবর্তন করেছে চীন। তা নিয়ে মোদী সরকারকে কঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন, ২০২০ সালের জুনে চীনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্লিন চিট দেওয়ার মূল্য পরিশোধ করছে দেশ।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের জুন মাসে চীনকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ক্লিনচিট দেওয়ার মূল্য চোকাতে হচ্ছে আমাদের। চীনের আগ্রাসন নিয়ে নীরব রয়েছেন মোদী। প্রায় ৩ বছর ধরে আমাদের সেনাকে ডেপসাং সমভূমিতে যেতে বাধা দিচ্ছে চীনা সেনাবাহিনী, যেখানে আগে আমাদের প্রবেশাধিকার ছিল। আর এখন অরুণাচল প্রদেশে আমাদের অবস্থানকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে চীন।'
কংগ্রেস নেতা রমেশ বলেন, ‘একজন শীর্ষ চীনা কূটনীতিক সম্প্রতি দাবি করেছেন যে, ভারত-চীন সীমান্ত পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। কিন্তু চীনের উস্কানি ও আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। ২০১৭ ও ২০২১ সালের পর, আবার তৃতীয় বারের মতো অরুণাচল প্রদেশের স্থানের নাম পরিবর্তন করেছে চীন।’
জানা যাচ্ছে, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে অরুণাচল প্রদেশের ৬টি স্থানের নাম পরিবর্তন করে চীন। তারপর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, আরও ১৫টি স্থানের নাম পরিবর্তন করা হয়।
এরপর ২০২৩ সালের এপ্রিলে তৃতীয়বারের মতো অরুণাচল প্রদেশের ১১টি জায়গার নাম পরিবর্তন করল চীন। যে ১১ টি জায়গার মধ্যে রয়েছে দুটি আবাসিক এলাকা, দুটি সমতল এলাকা, পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ এবং দুটি নদী।
তবে, চীনের এই ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবতাকে পরিবর্তন করবে না বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। এ দিন জয়রাম রমেশ বলেন, ‘অরুণাচল প্রদেশ বরাবরই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং থাকবে। অরুণাচল প্রদেশের মানুষ ভারতের গর্বিত এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক। আর, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে, সকল ভারতীয়দের এটাই সংকল্প।’
তিনি জানান, ‘উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই থাকবে। শত চেষ্টা করলেও অরুণাচল প্রদেশের ওই স্থানগুলি নিজেদের করতে পারবে না চীন।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন