কে কিনেছে পেগাসাস? তার সঠিক কোনও জবাব বৃহস্পতিবারও পাওয়া গেল না। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা পেগাসাস-গোয়েন্দাগিরি মতো গুরুতর অভিযোগের সপক্ষে বিবৃতি দিলেও আসল প্রশ্নের কোনও উত্তর মিলল না। ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও'র কাছ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার পেগাসাস স্পাইওয়ার কিনেছে কিনা, তার জবাব মেলেনি। অন্যদিকে, সরকারের জবাবদিহির দাবিতে বিরোধীরা সোচ্চার হয়ে উঠলে সংসদের অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়।
এদিন দৈনিক ভাস্কর-এর দফতরে আয়কর হানার বিরোধিতা করে যখন বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছিল, তখনই বৈষ্ণ বিবৃতি পাঠ করতে শুরু করেন। পেগাসাস কাণ্ডে কার্যত তোলপাড় গোটা দেশ। কেন্দ্রের মুখে কুলুপ আঁটার বিরোধিতা করেছে সিপিআইএম। এদিনের সভায় কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ বিবৃতির পর টুইটে সমালোচনা করে সিপিআইএম। তাদের বক্তব্য, বাকপটু সরকার আসল প্রশ্নের উত্তর দিল না। ভারত সরকার বা কোনও সংস্থা এনএসও'র খদ্দের? এদের মধ্যে কেউ কি পেগাসাস স্পাইওয়ার কিনেছে? এই আসল প্রশ্নের জবাব কেন এড়িয়ে যাচ্ছে সরকার? মোদি সরকারকেই এর জবাব দিতে হবে।
এরই মধ্যে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন মন্ত্রীর হাত থেকে বিবৃতি পত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেন। তা নিয়ে আরেকপ্রস্থ গন্ডগোল শুরু হয়। অবশেষে বিবৃতির প্রতিলিপি রাজ্যসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিবৃতিতে বলা হয়, সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরুর মাত্র একদিন আগে পেগাসাস নিয়ে অতি উচ্চমাত্রার স্পর্শকতার সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। এটি কখনওই কাকতালীয় হতে পারে না।
এর আগেও হোয়াটসঅ্যাপে পেগাসাস নজরদারির অভিযোগ উঠেছিল। সংশ্লিষ্ট সকলেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবারও এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। ভারতীয় গণতন্ত্র এবং সুপ্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলির গায়ে কালি ছেটাতেই এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। গত ১৯ জুলাইও মন্ত্রী একই ধরনের বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেদিনের মতো এদিনও ভারত সরকার পেগাসাস স্পাইওয়ার কিনেছে কিনা, সেই সংক্রান্ত কোনও স্বীকারোক্তি করতে শোনা যায়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন