ফের রোজকার জীবনযাপনের খরচ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে মধ্যবিত্তের কপালে। কারণ দাম বাডছে পেট্রোল-ডিজেলের। গত নভেম্বরে শেষবার জ্বালানি পণ্যের দাম বেড়েছিল। আর তারপর প্রথমে মঙ্গলবার পরে আজ আজ বুধবার, অর্থাৎ পরপর দু'দিন বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম।
এদিন রাজধানী দিল্লিতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৮০ পয়সা করে বেড়ে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৯৭ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৮৮ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে।
আজকের মূল্যবৃদ্ধির পর বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১১ টাকা ৬৭ পয়সা, চেন্নাইয়ে ১০২ টাকা ৯১ পয়সা। কলকাতাতেও পেট্রোলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ১০৬ টাকা ৩৪ পয়সায়।
মঙ্গলবারও লিটার প্রতি ৮০ পয়সা করে বাড়ে পেট্রোপণ্যের দাম। পাশাপাশি রান্নার গ্যাসের দামও সিলিন্ডার পিছু বাড়ে ৫০ টাকা। অর্থাৎ এখন থেকে কলকাতাবাসীকে ১৪.২ কেজি এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডারের জন্য ৯৭৬ টাকা দিতে হবে।
গতবছর ধাপে ধাপে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছিল বেশ কয়েকবার। একসময় তা সেঞ্চুরি করে। পাশাপাশি বাড়ছিল মানুষের ক্ষোভ। যেহেতু পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির উপর আনুষঙ্গিক মানুষের জীবনযাত্রা নির্ভর করে, তাই আমজনতার পকেটে চাপ বাড়ছিল। সেইসময় কর কার কমানো উচিত, তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ব্যাপক তরজা চলে।
শেষপর্যন্ত মধ্যবিত্তের উপর থেকে চাপ কমাতেই ২০২১ সালের ২ নভেম্বর কেন্দ্র পেট্রোল-ডিজেলে যথাক্রমে ৫ ও ১০ টাকা করে কর ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। তারপর থেকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম আর বাড়েনি। ১৩৭ দিন পর, ফের একবার দাম বাড়ল পেট্রোপণ্যের।
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের ওঠা-নামার উপর পেট্রোল-ডিজেলের দাম নির্ভর করে। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই আমেরিকা- সহ বেশ কয়েকটি দেশ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সঙ্কট দেখা গিয়েছে। বর্তমানে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ১১৬ ডলারের পৌঁছে গিয়েছে। ভারত অবশ্য ছাড়ে রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কেনার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি। তবুও বৃদ্ধি পেল পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন