প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ও ওয়াইনাডের সাংসদ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল এক জনস্বার্থ মামলা। অশোক পান্ডে নামক লখনৌ ভিত্তিক এক আইনজীবী শীর্ষ আদালতে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন।
শীর্ষ আদালতে করা ওই আবেদনে বলা হয়েছে যদি একবার কোনও সংসদ বা বিধানসভা সদস্য আইনগত কারণে তাঁর সদস্যপদ হারান সেক্ষেত্রে যতক্ষণ না তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে মুক্ত হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি সেই পদ ফিরে পেতে পারেন না।
শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে ওই আইনজীবী তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, বেঞ্চ ঠিক করুক কিসের ভিত্তিতে রাহুল গান্ধীকে সাংসদপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বক্তব্য অনুসারে রাহুল গান্ধী এখনও নির্দোষ প্রমাণিত হননি এবং তাঁর শাস্তির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। এই স্থগিতাদেশের ভিত্তিতে তিনি কীভাবে সাংসদপদ ফিরে পেতে পারেন?
গত ৪ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট মোদী পদবী মামলায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দেওয়া আদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর আগে এই মামলায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণার পরেই তড়িঘড়ি তাঁর সাংসদপদ খারিজ করে দেওয়া হয় এবং তাঁর সরকারি বাসভবন তাঁকে ছেড়ে দেবার নির্দেশ দেন। যদিও শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশের পর তিনি সাংসদ পদ এবং বাসভবন ফিরে পান।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে কর্ণাটকে এক নির্বাচনী সমাবেশে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, "কীভাবে সব চোরের উপাধি মোদি হতে পারে?" এই মন্তব্যের জন্য সুরাটের এক আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর রাহুল গান্ধীকে এই বছরের মার্চ মাসে সাংসদ হিসাবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। রাহুল গান্ধীর মন্তব্যটিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করে পলাতক ব্যবসায়ী নীরব মোদি এবং ললিত মোদির মধ্যে একটি অন্তর্নিহিত সংযোগ টানার চেষ্টা হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন