পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায় আনতে হবে। তার বাইরে তা হতে পারে না। পিএম কেয়ার্স ফান্ডের কাঠামো জনসাধারণের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতাকে দুর্বল করে তুলছে। দিল্লি হাইকোর্টে মঙ্গলবার এমনই অভিযোগে মামলা শুরু হল।
মামলাটি চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি ও বিচারপতি নবীন চাওলার ডিভিশন বেঞ্চে। জুলাইয়ে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। অভিযোগকারী সাম্যক গাঙ্গওয়ালের আইনজীবী শ্যাম দিভানের প্রশ্ন, বাড়ির কর্তা বাড়ির কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ট্রাস্ট গড়তে বা অনুদান চাইতে পারে? বিষয়টি অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে ধরা হলেও সংবিধান কি এই জাতীয় কিছু করার অনুমতি দেয়? বলতে পারে, এটা রাষ্ট্রের কোনও বিষয় নয়? অথবা ক্যাগ বা অন্যকিছুর আওতাভুক্ত হবে না?
তাই গাঙ্গওয়াল চান, পিএম কেয়ার্সকে সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায় আনা হোক। সেই উদ্দেশ্যেই এই মামলা। এই তহবিলকে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে শ্যাম দিভানের যুক্তি, পিএম কেয়ার্স নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে এই ফান্ড সরকারি সংস্থার মতোই কাজ করে। সরকারি সংস্থার সুযোগ-সুবিধাগুলোই পিএম কেয়ার্স তহবিল ভোগ করে। তাই কেন সরকার তহবিল হিসেবে একে ঘোষণা করা হবে না? প্রশ্ন তাঁর।
এর আগে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার অনুপস্থিতির কারণে মামলাটির মুলতবি রাখার আবেদন করে কেন্দ্র। কিন্তু, বিচারপতিরা সেই আবেদন গ্রাহ্য করেননি। ফলে পরের দিকে ভার্চুয়ালি মেহতা শুনানিতে উপস্থিত থাকেন। মামলার আবেদনের কারণ জানতে চান। একইসঙ্গে তিনি আদালতের কাছে গাঙ্গওয়ালের আবেদনের কারণ যাচাইয়েরও অনুরোধ জানান।
দিভান এই মামলায় গত বছর জানিয়েছিলেন যে, পিএম কেয়ার্স ইস্যুতে সাংবিধানিক স্বচ্ছতা প্রয়োজন। একে সরকারি তহবিল হিসেবে ঘোষণা করা হোক। পিটিশনে গাঙ্গওয়ালের অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ট্রাস্টিদের সঙ্গে মিলে এই পিএম কেয়ার্স গঠন করেছে। কিন্তু এর ওপর কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দেশবাসী ক্ষুব্ধ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন