"প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভা কক্ষের মধ্যেই মিমিক্রি করেছিলেন। সেই বিষয়ে কেউ কিছু বলবেন না?" সংসদ চত্বরে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মিমিক্রি করা নিয়ে যখন জাতীয় রাজনীতি তোলপাড়, তখন প্রধানমন্ত্রীর মিমিক্রির প্রসঙ্গ টেনে এই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি।
সংসদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার চত্বরে একযোগে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। সেই সময়ই হঠাৎই উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের মিমিক্রি করতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার ভিডিও পোস্ট করে তীব্র নিন্দা করে বিজেপি। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এই প্রসঙ্গে বুধবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মিমিক্রি হলো শিল্প। কেন জগদীপ ধনখড় নিজেকে ওই মিমিক্রির সাথে তুলনা করছেন? তাহলে কি সত্যিই রাজ্যসভার মধ্যে ওইরকমই আচরণ করেন তিনি? আমার কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না কাউকে আঘাত করা। জগদীপ ধনখড়কে আমি খুবই সম্মান করি। তবে আমার কাজে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে আমি দুঃখিত। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভা কক্ষের মধ্যেই মিমিক্রি করেছিলেন। সেই বিষয়ে কেউ কিছু বলবেন না?"
প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কক্ষের মধ্যে করা মিমিক্রির ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন সদ্য সাংসদ পদ হারানো মহুয়া মৈত্র।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সাংসদদের উচিত সংযত থাকা। তাঁরা এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন যাতে সংসদের গরিমা নষ্ট না হয়।
জগদীপ ধনখড় দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, "উপরাষ্ট্রপতিকে অপমান করার পরেও কংগ্রেস চুপ। বিষয়টির ভিডিও করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রতিবাদ করা উচিত ছিল। আমাকে অপমান করুক কোনো সমস্যা নেই। আমার পদটাকে অপমান করা হয়েছে।"
তৃণমূল সাংসদের মিমিক্রি নিয়ে মুখ খোলেন মমতা ব্যানার্জি। বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, সংসদের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি কিছু বলার থাকে তাহলে আমার অন্যান্য এমপিরা বলবেন। আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন