মোদীর মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হল কিরেন রিজিজুকে (Kiren Rijiju)। তাঁর পরিবর্তে আইনমন্ত্রী হয়েছেন অর্জুন রাম মেঘওয়াল (Arjun Ram Meghwal)। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শে মন্ত্রিসভায় এই রদবদলে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। কিরেন রিজিজুকে করা হয়েছে ভু বিজ্ঞান মন্ত্রক।
রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বর্তমানে সংসদীয় বিষয়ক ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হলেন অর্জুন রাম মেঘওয়াল। এখন থেকে তিনি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর জায়গায় নিয়োগ থাকবেন।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে শ্রী কিরেন রিজিজুকে।' এতদিন, ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তাঁর জায়গায় এলেন রিজিজু।
২০২১ সালের ৮ জুলাই, কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন কিরেন রিজিজু। এর আগে, তিনি ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কেন্দ্রী ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রবিশঙ্কর প্রসাদের জায়গায় আইনমন্ত্রী হয়েছিলেন কিরেন রিজিজু।
অরুণাচল পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ রিজিজু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র। ২০০৪ সালে প্রথমবার লোকসভা ভোটে তিনি লড়াই করেন, এবং প্রথমবারেই জয়ী হন। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে আবার তিনি হেরে যান। পরে ২০১৪ সালে জিতে ফের সাংসদ হন রিজিজু।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি আলোচনা সভায় রিজিজু বলেছিলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের কয়েক জন ‘ভারতবিরোধী গোষ্ঠী’র সদস্য! ওই গোষ্ঠীর কাজ বিচার বিভাগকে সরকারের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করা!’’ রিজিজুর এই মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। যৌথ বিবৃতি দেন সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের ৩০০ জনেরও বেশি সিনিয়র আইনজীবী। আইনজীবীদের বক্তব্য, ‘সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের ‘স্পষ্টভাবে হুমকি’ দিয়ে ‘সাংবিধানিক শালীনতার সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছেন’ আইনমন্ত্রী।’ যার জেরে সংসদে সাফাই দিতে হয় রিজিজুকে। তার জেরেই এই রদবদল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন