Gautam Adani: 'প্রধানমন্ত্রীও এই দুর্নীতিতে জড়িত' - 'ঘুষ কাণ্ডে' আদানির নাম জড়াতেই সরব রাহুল গান্ধী

People's Reporter: রাহুল গান্ধী বলেন, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেও এই ব্যক্তি (গৌতম আদানি) গ্রেফতার হবেন না। প্রধানমন্ত্রী এনার সাথেই আছেন।
'ঘুষ কাণ্ডে' আদানির নাম জড়াতেই সরব রাহুল গান্ধী
'ঘুষ কাণ্ডে' আদানির নাম জড়াতেই সরব রাহুল গান্ধীফাইল ছবি
Published on

সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা ও সরকারি আধিকারিকদের বিপুল ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ফের সরব হলেন লোকসভার বিরোধী দল নেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সহ অন্যান্য বিরোধীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভারতের রাজনীতি তোলপাড় আদানিকাণ্ড নিয়ে। অভিযোগ, আদানি গ্রিন এনার্জির সাথে এক মার্কিন সংস্থা অ্যাজুরে পাওয়ারের চুক্তি হয়। যৌথ উদ্যোগে ১২ গিগাওয়াট সৌরশক্তি বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি করা হবে - এমনই লক্ষ্য ছিল প্রকল্পটির। প্রকল্পটি বিপুল লাভজনক। ২০ বছরে সংস্থাটি প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা লাভ করত। এই প্রকল্পের জন্য ভারত সরকারের আধিকারিকদের ২২৩৭ কোটি টাকা ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন আদানি। তাঁর সাথে আরও ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদি আদানিকে রক্ষা করছেন। তিনিও আদানির সঙ্গে দুর্নীতিতে জড়িত। ভারতে মোদি ও আদানি একসঙ্গে থাকলে তাঁরা নিরাপদ, কেউ তাঁদের ক্ষতি করতে পারবে না। আমরা ভারতে আদানিদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি'।

তিনি আরও বলেন, 'মোদী আদানির বিরুদ্ধে কিছু করতেও পারবেন না। যদি তিনি পদক্ষেপ নিতেও চান তাও সম্ভব নয়। কারণ তিনি আদানির নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেও এই ব্যক্তি (গৌতম আদানি) গ্রেফতার হবেন না। প্রধানমন্ত্রী এনার সাথেই আছেন। যে এই কাণ্ডের মূল মাথা তাঁকে গ্রেফতার করতেই হবে'।

লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, 'বিজেপির যত ফান্ডিং হয় তা আদানিই করেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই মোদী তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবেন না। আদানি গোটা ভারতকে হাইজ্যাক করে নিয়েছেন'।

এই ঘটনায় মোদী ও আদানিকে একযোগে আক্রমণ করেছেন আর এক কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। এক্স মাধ্যমে তিনি লেখেন, মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গৌতম আদানিকে প্রতারণা ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। কংগ্রেস ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মোদানি কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে জয়েন্ট পার্লামেন্টরি কমিটি (জেপিসি) তদন্তের দাবি করে আসছে।

তিনি আরও লেখেন, কংগ্রেস পুনরায় আদানির লেনদেন নিয়ে জেপিসি তদন্তের দাবি জানায়। এই কারণে ভারতের মূল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আদানির একচেটিয়া আধিপত্য, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in