পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় আটকে যাওয়ার প্রায় ২ দিন পর ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছেন একদল বিজেপি কর্মী। এই ঘটনাকেও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির আরও একটি উদাহরণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একদল লোক প্রধানমন্ত্রীর কালো রঙের টয়োটা ফরচুনার থেকে সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের হাতে বিজেপির একটি বড় পতাকা রয়েছে। 'বিজেপি জিন্দাবাদ' বলে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। লোকেরা স্লোগান দিতে শুরু করলে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িটি সামনের দিকে কিছুটা এগিয়ে যায় এবং নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়িটিকে ঘিরে ঢাল হয়ে দাঁড়ান। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে একটি সমাবেশে যাওয়ার পথে ফ্লাইওভারে প্রায় ২০ মিনিট আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। আন্দোলনকারী কৃষকরা ফ্লাইওভারে বসে বিক্ষোভ দেখানোর জেরে এই ঘটনা ঘটে। শেষ পর্যন্ত সমাবেশে না পৌঁছে গাড়ি ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনায় পাঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ব্যাপক গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়।
জানা গেছে বিজেপি কর্মীরাও সমাবেশে যোগ দিতে এই পথ দিয়েই যাচ্ছিলেন এবং বিক্ষোভের জেরে তাঁরাও আটকে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ও ফ্লাইওভারে আটকে রয়েছে জানতে পেরে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনাকেও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির আরও একটি উদাহরণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এই সমগ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির পদত্যাগের দাবি তোলা হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের কটাক্ষ, সমাবেশে লোক না হওয়ায় বাহানা দিয়ে ফিরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্র এবং পাঞ্জাব সরকার পৃথক পৃথকভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন