আদানিকাণ্ড এবং রাহুল-মন্তব্যের জেরে আজও উত্তাল হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। শেষ পর্যন্ত দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে ঘিরে মঙ্গলবারও উত্তাল হয় সংসদ। 'রাহুল গান্ধী মাফি মাঙ্গো’ - এই শ্লোগান তোলে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দাবি করেন, ‘এক সংসদ সদস্য যেভাবে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন, তাতে সংসদ চুপ থাকতে পারে না।’
পাশাপাশি, সকল সাংসদ যেন রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা করেন, সেই আবেদন জানান পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, ‘আমি হতবাক যে কিছু দলও তাঁকে (রাহুলকে) সমর্থন করছে। আমি সব দলের কাছে আবেদন জানাই, যেভাবে একজন সিনিয়র সাংসদ বিদেশের মাটিতে দেশের সমালোচনা করেছেন, তার সমালোচনা করুন।’
পীযূষ গোয়েলের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে কংগ্রেসও। বিজেপিকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস জানিয়েছে, ‘গণতন্ত্রের হত্যাকারীর মুখে আজ এ কী কথা শুনি!’
লোকসভায় কংগ্রেসের ডেপুটি নেতা মানিকম ঠাকুর বলেছেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। রাহুল গান্ধী ভুল কিছু বলেননি। আরএসএস মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে থাকে, কংগ্রেস তা করে না। মানুষের কণ্ঠকে দমন করা হচ্ছে, একথা সঠিক ভাবেই বলেছেন তিনি (রাহুল)।’
এরপরেই, টুইটারে বিদেশে প্রধানমন্ত্রী মোদীর করা পুরনো একটি মন্তব্য তুলে ধরেন মানিকম ঠাকুর। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র জিকে ক্ষমা চাইতে হবে। বিদেশে তিনি ভারতকে অপমান করেছেন। সাভারকরের মতো তিনিও তা করতে পারেন, এবং তিনি করবেন।’
একইসঙ্গে, আদানিকাণ্ড নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গড়ার দাবি জানায় কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা।
সব মিলিয়ে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে সংসদে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়নি। সাংসদদের হল্লা থামাতে দুই কক্ষের অধিবেশনই মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন