পিএম কেয়ার্স ফান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মাত্র এক পাতার জবাব দেখে ক্ষুব্ধ দিল্লী হাইকোর্ট। কেন্দ্রকে কার্যত বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা ও সুব্রমোনিয়াম প্রসাদ কেন্দ্রের আইনজীবীকে বলেন, 'আপনি এই মামলার জবাবদিহি করেছেন ঠিক আছে। কিন্তু কীভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মাত্র এক পাতার জবাব দিয়েছেন? মামলাকারীর আইনজীবী যা যা জানতে চেয়েছিলেন তার কোনো কিছুই ঐ পাতায় নেই'। পাশাপাশি আদালত কেন্দ্রের আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে বিস্তারিত ও সম্পূর্ণ জবাবদিহি করতে। বিচারপতি জানিয়ে দেন, পরবর্তী শুনানি ১৬ সেপ্টেম্বর।
এছাড়াও আদালতের তরফ থেকে বলা হয়, ‘বিষয়টি মোটেও সাধারণ নয়। কারণ পরে বিষয়টি শীর্ষ আদালতেও যাবে। তাই আমাদের প্রতিটি পয়েন্ট ধরে ধরে রায় দিতে হবে’।
করোনা মোকাবিলায় আমজনতার কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর নামে এই তহবিল গঠন করা হয়েছিল। এই দাতব্য ট্রাস্টের পুরো নাম Prime Minister's Citizen Assistance and Relief in Emergency Situation Fund। এই তহবিলের চেয়ারম্যান নরেন্দ্র মোদী।
তহবিলের ঠিকানাতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। ওয়েবসাইটে নরেন্দ্র মোদীর ছবির সাথে জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভও রয়েছে। তহবিলের অছি পরিষদের সদস্য তালিকায় নাম রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর।
উল্লেখ্য, সাম্যক গাংওয়াল নামে এক ব্যক্তি পিএম কেয়ার্স ফান্ডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে সংবিধানের ১২ নম্বর ধারার অধীনে 'দ্য স্টেট' ঘোষণা করার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। পিটিশনে আবেদনকারী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীদের মতো ট্রাস্টিদের নিয়ে তৈরি তহবিলে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যা দুঃখজনক।
এই পিটিশনের শুনানিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি প্রদীপ কুমার শ্রীবাস্তব আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছিলেন, সংবিধানে তৈরি কোনো আইনে এই তহবিল তৈরি হয়নি। বাজেট থেকে কোনো অর্থ বরাদ্দ করা হয় না এই তহবিলে। স্বেচ্ছায় অনুদান জমা হয় এখানে। তৃতীয় পক্ষের কাছে এর তথ্য প্রকাশ করা অনুমোদিত নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন