ফের আর্থিক লোকসানের শিকার হল পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। একটি সংস্থা ২০০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু শোধ করতে পারেনি। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে জানানো হয়েছে যে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে। নীরব মোদির বিপুল প্রতারণার কাহিনি এখনও টাটকা। ব্যাঙ্কের লোকসানের বোঝা একটুও কমেনি। দেশছাড়া নীরব মোদি। ফেরানো যায়নি তাঁকে। এরই মধ্যে আরও একটি আর্থিক তছরুপ কাণ্ডের শিকার হল পিএনবি।
কোন সংস্থা ঋণ নিয়েছিল? তামিলনাড়ুর একটি সংস্থা আইএলঅ্যান্ডএফএস (IL&FS) তামিলনাড়ু পাওয়ার পিএনবির কাছ থেকে ঋণ নেয়। তামিলনাড়ুর ওই সংস্থাটি প্রধানত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। সংস্থার সদর দফতর তামিলনাড়ুর কুড্ডালোরে। পিএনবির নয়াদিল্লি শাখার কর্পোরেট বিভাগ থেকে ওই সংস্থা বড় অঙ্কের অর্থ ঋণ নেয়। পিএনবি আরবিআইকে জানায়, একটি সংস্থা ২ হাজার ৬০ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েও শোধ করেনি।
পিএনবি যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, সেই সংস্থাটিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাংকও ‘ব্যাড অ্যাসেট’ বলে ঘোষণা করেছিল। আইএলঅ্যান্ডএফএসের (IL&FS) ১৪৮ কোটি টাকার অনুৎপাদক সম্পদের যে অ্যাকাউন্ট, সেটিকে জাল অ্যাকাউন্ট বলেও ঘোষণা করেছিল পিএসবি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ভারতীয় হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির অর্থ তছরুপের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কয়েক বছর আগে তাঁকে বিপুল অর্থ ঋণ দিয়েছিল পিএনবি। পরে জানা যায় নীরব ভুয়ো জামিনদার ব্যবহার করে ওই ঋণ নিয়েছিলেন। তত দিনে ঋণের অঙ্ক বেড়ে প্রায় ১৪ হাজার কোটি তাকে পৌঁছেছে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই অবশ্য দেশ ছেড়েছেন নীরব। ওই ঘটনার ঘটনার চার বছর পর ফের একই রকম অর্থ তছরুপের ঘটনা ঘটল। ভারতের ইতিহাসের অন্যতম তিন ‘জালিয়াত’ নীরব মোদি, মেহুল চোকসি ও বিজয় মালিয়ার সম্পত্তি বিক্রি করে ইতিমধ্যে ১৮ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করেছে সরকার। কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে এমনই দাবি করেছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুকে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন