রাজস্থানে উপনির্বাচন চলাকালীন অতিরিক্ত জেলাশাসককে চড় মারার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা দেওলি-উনিয়ারা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী নরেশ মীনা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বুধবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণের সাথে একাধিক রাজ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজস্থানের সাত কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। টঙ্ক জেলার দেওলি-উনিয়ারা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হয়। নির্বাচন চলাকালীন অতিরিক্ত জেলাশাসককে চড় মারার অভিযোগ ওঠে এই কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী নরেশ মীনার বিরুদ্ধে। তাঁকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল থেকেই নরেশ মীনাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছিল প্রশাসন। কিন্তু তাঁর সমর্থকরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোয় তা সম্ভব হয়নি।
গতকাল রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সামরাবতা গ্রাম। মীনাকে গ্রেফতার করতে গেলে তাঁর অনুগামীদের সাথে খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ঢিল ছুঁড়তে থাকে বিক্ষোভকারীরা। ২৪টি বড় গাড়ি এবং প্রায় ৫০টি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয় নরেশের অনুগামীরা। বৃহস্পতিবার নামে এসটিএফ। আজ সকালেও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় নির্দলপ্রার্থীর সমর্থকরা।
টঙ্ক জেলার এসপি বিকাশ সাংওয়ান জানান, "সামরাবতা গ্রামে বেশ কয়েকজন ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। সমস্যা সমাধানের জন্য এসডিএম, তহসিলদার, অতিরিক্ত এসপি এবং অন্যান্য আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শনে যান। সেই সময় নির্দল প্রার্থী নরেশ মীনা ভোটকেন্দ্রে ঢুকে এসডিএমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। দ্রুত অতিরিক্ত এসপি তাঁকে আটকান। ওই প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নরেশ মীনার বিরুদ্ধে মোট ২৩টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে।"
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বুধবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় উপনির্বাচন চলাকালীন ভোটকেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ তুলে অতিরিক্ত জেলাশাসককে চড় মারছেন নির্দল প্রার্থী নরেশ মীনা। (ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)
দেওলি-উনিয়ারা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে নরেশ মীনার পরিবর্তে কস্তুরচাঁদ মীনাকে টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস। তারপরই দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ার কথা জানান তিনি। নরেশের দলবিরোধী কার্যকলাপের জেরে তাঁকে দল থেকে বরখাস্ত করেছে কংগ্রেস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন