বিজেপির তেলেঙ্গানা ইউনিটের সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারকে গ্রেপ্তার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ। প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন যে এটি রাজ্য সরকারের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক অধিকার হত্যার আরেকটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
বিবৃতিতে নাড্ডা বলেছেন, তেলেঙ্গানা পুলিশ, কেসিআর সরকারের চাপে পড়ে রবিবার রাতে জোরপূর্বক বিজেপি রাজ্য সভাপতির অফিসে প্রবেশ করে লাঠিচার্জ করে দলের সিনিয়র নেতা ও কর্মীদের মারধর করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। তিনি বলেন - “এটি তেলেঙ্গানা সরকারের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকারের হত্যার আরেকটি উজ্জ্বল উদাহরণ। বিজেপি নেতা এবং কার্যকর্তাদের উপর এই আক্রমণের তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা করছি।”
কিন্তু কী কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? ঘটনার কথা উল্লেখ করে নাড্ডা বলেন, তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকারের শিক্ষক ও কর্মচারীরা বিজেপি ইউনিটের সভাপতির অফিসে এসেছিলেন। সম্প্রতি তেলেঙ্গানা সরকার রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের জন্য প্রত্যাবর্তনমূলক আদেশ পাস (৩১৭ নং) করেছে। এই আদেশের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য কর্মচারীরা বান্দি সঞ্জয় কুমারের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন।
“সমস্ত কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করে, কুমার বিজেপি নেতা ও কর্মীদের সাথে তার অফিসে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের সাথে সংহতি জানাতে রাতভর উপবাস করেছিলেন। ” নাড্ডা আরও বলেন, তেলেঙ্গানার কেসিআর সরকার বিজেপির রাজ্য সভাপতি, দলীয় কর্মী এবং ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও কর্মচারীদের এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে এতটাই ভয় পেয়েছে যে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের উপর পুলিশকে আক্রমণ চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
নাড্ডার দাবি, তেলেঙ্গানা পুলিশ প্রথমে অফিসের লোহার গেট ভেঙে ফেলে, তারপরে যেখানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছিল সেখানে জোর করে প্রবেশ করে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং মহিলা নেত্রী ও কর্মীদের উপর নৃশংস হামলা চালায়। তারপরে তাদের গ্রেপ্তার করে।
- With IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন