বিজেপি নেত্রী জয়া প্রদাকে আদালতে পেশ করার জন্য ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পাশাপাশি আদালতের জারি করা জামিন অযোগ্য পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য পুলিশের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের রামপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী বলেন, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তিনি আদালতের হাজিরা এড়াতে পারেন। পুলিশ এখনও তাঁকে খুঁজে পায়নি। আদালতের নির্দেশ মতো বিজেপি নেত্রীকে আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে হাজির করতে হবে। তাঁকে খোঁজার জন্য এক ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ কর্তার নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করা হয়। তারাই জয়া প্রদার হাজিরার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি।
একাধিকবার বিজেপি নেত্রীকে সুযোগ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি। বাধ্য হয়ে বিচারপ্রক্রিয়ায় অসহযোগিতার কারণে বিচারক জয়া প্রদার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় পরোয়ানা জারি করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে রামপুর আসনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জয়া প্রদা। সেই সময়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দুটি মামলা দায়ের হয় জয়া প্রদার বিরুদ্ধে।
প্রথম মামলাটি হয় একটি রাস্তা উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল নূরপুর গ্রামে রাস্তা উদ্বোধন করে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছিলেন। দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের হয়েছিল কেমরি থানায়। পিপিলিয়া মিশ্র গ্রামে এক প্রকাশ্য সমাবেশে আপত্তিকর বক্তব্য রাখার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে।
দুটি মামলারই তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ। এমপি-এমএলএ-দের বিশেষ আদালতে জয়া প্রদার বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনেও জয়া প্রদাকে সফল বলা যায়। তেলেগু দেশম পার্টির হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় জয়ার। পরে ২০০৪ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টিতে ছিলেন। ২০১৪-১৯ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় লোক দলে ছিলেন। ২০১৯ সালে যোগ দেন বিজেপিতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন