জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে যাওয়া গরীব পড়ুয়াদের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি আদায় করা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে।বর্তমান শিক্ষাবর্ষে যে নতুন প্রস্পেকটাস প্রকাশ করা হয়েছে, তা দেখেই মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিব পড়ুয়াদের কপালে।
পিএইচডি অ্যাডমিশনের জন্য নাম নথিভুক্ত করা পড়ুয়ারা জানতে পেরেছেন, সমস্ত আসন সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে নেট পরীক্ষায় পাশ করে আসা জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপদের জন্য।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক পড়ুয়া জানিয়েছেন, অনেক সেন্টারেই নেট জিআরএফ-এর উপর নির্ভর করছে না। তারা শুধুমাত্র ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির উপর নির্ভর করছে। এক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ভর্তি চলছে না। যেরকম মনে হচ্ছে, সেভাবেই পুরো প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের অফিস বিয়ারার জানিয়েছেন, যে প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে, তা মোটেও বৈষম্যমূলক নয়। কিন্তু এই প্রস্তাবটি গরীব ছাত্রদের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছাত্র সংগঠনের প্রেসিডেন্ড ঐশি ঘোষ জানিয়েছেন, গরীব ছাত্রদের জন্য একমাত্র উচ্চশিক্ষার দরজা ছিল জেএনইউ। এখন তাও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ভাগলপুর থেকে আসা একটি গরীব ছেলে এখানে কম খরচে পড়াশোনা করতে পারছে। এখন তাকে উচ্চশিক্ষার জন্য আবার নিজেকে তৈরি করে পরীক্ষায় বসতে হবে। যা খুব সংখ্যক পড়ুয়াদের পক্ষেই সম্ভব। এরকম করে আসলে গরীব পড়ুয়াদের ঠকানো হচ্ছে।
ঐশি আরও বলেন, নেট-জিআরএফ পাশ করতে গেলে ১০০ শতাংশ নম্বর চাই ভাইভায়। এক্ষেত্রে তপসিলি জাতি, উপজাতি এবং মহিলা পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ে খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়তে হয়। কখনও কখনও পরীক্ষকরা এইসবের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করে দেন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন