লোকসভার ফল বেরোনোর আগে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বিজেপিকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যায় মেলেনি সেই ভবিষ্যদ্বাণী। সেই নিয়ে ভুল স্বীকার করলেন পিকে। জানালেন, আর কখনও তিনি ভোট নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করবেন না।
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানান, ‘‘আমি আর নির্বাচনের সম্ভাব্য আসনসংখ্যা নিয়ে কখনও কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করব না। আমি আমার বিশ্লেষণ জানিয়েছিলাম। আর আজ আমি ক্যামেরার সামনেই স্বীকার করছি আমার বিশ্লেষণে ভুল ছিল। শুধু ভুলই নয়, ২০ শতাংশ নম্বরের ফারাক ছিল।’’
তবে একই সঙ্গে প্রশান্ত বলেছেন, “আমি একজন ভোটকুশলী। আমার কাজ ভোটের রণকৌশল ঠিক করা। ভোটের ফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী আমি সাধারণত করি না। এ বারও করা উচিত হয়নি। গত দু’বছরে এই নিয়ে দু’বার এই নম্বরে নিয়ে মাথা ঘামানোর ভুল করলাম। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে করেছিলাম। আর এ বার ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও। তবে নম্বরটুকু বাদ দিলে দেখবেন আমি যা বলেছিলাম তাতে কোনও ভুল ছিল না।”
পাশাপাশি, বিজেপির আসন সংখ্যা এত কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যাও করেন তিনি। প্রশান্ত কিশোরের মতে, বিজেপির ৪০০ পার না হওয়ার পিছনে রয়েছে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি হোক বা অন্য কোনও দল, মানুষ অহং, দম্ভ কখনও বরদাস্ত করেন না। বিজেপির অহঙ্কার মানুষ ভেঙে দিয়েছেন।
তিনি জানান, বিজেপি নরেন্দ্র মোদীর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। সাংসদরা কাজ করেননি, অথচ ভাব ছিল এমন যে, মোদি তো আছেন। ৪০০ আসন হেসেখেলেই উঠে আসবে। স্থানীয় স্তরে বিজেপির কার্যকর্তাদের মধ্য়েই দলের সাংসদদের নিয়ে অসন্তোষ ছিল বলে দাবি প্রশান্তর। কিন্তু মোদীর বিরোধীরা বিজেপি-কে হারানোর লক্ষ্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
তবে এরপরেই তিনি বিজেপিকে বৃহত্তর দল হিসাবে দাবি করেছেন। তাঁর মতে, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং ঝাড়খণ্ড, এই তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলই জোট সরকারের গতিপথ নির্ধারণ করে দেবে বলে মত তাঁর। প্রশান্তের মতে, বিজেপি, কংগ্রেস এবং অন্য দলগুলির কেউই এখন ঝুঁকি নিতে চাইবে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন