কিছুদিন আগেই সনাতন ধর্ম নিয়ে ‘আলটপকা’ মন্তব্য করেছিলেন। এবার ফের একবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ করলেন তামিলনাড়ুর ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী উধয়নিধি স্ট্যালিন। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছেলে বুধবার বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি ‘বর্ণ বৈষম্য’-এর অভিযোগ তুললেন। নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে কেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, সেই নিয়ে এদিন আক্রমণ শানান উধয়নিধি। অবশ্য এর আগেও এই নিয়ে কেন্দ্রের গেরুয়া সরকারকে তুলোধোনা করেছেন তিনি।
বুধবার মাদুরাইয়ের এক অনুষ্ঠানে উধয়নিধি বলেন, “নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের সময় ওরা (বিজেপি) তামিলনাড়ু থেকে একগুচ্ছ লিঙ্গায়েত পুরোহিতদের নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সেখানে ডাকা হয়নি, কারণ তিনি বিধবা এবং উনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। এটাই কি সনাতন ধর্ম? আমরা (ডিএমকে) এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ জারি রাখবো।” উল্লেখ্য, আগেও নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে মোদী ব্রিগেডের বিরুদ্ধে ‘বর্ণ বৈষম্য’-এর অভিযোগ ছুঁড়ে দিয়েছেন উধয়নিধি।
চলতি মাসের শুরুতেই ‘সনাতন ধর্ম’ নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন স্ট্যালিন-পুত্র। সনাতন ধর্মকে ‘ডেঙ্গু’ ও ‘ম্যালেরিয়া’-এর মতো রোগের সঙ্গে তুলনা করে উধয়নিধি বলেছিলেন, “সনাতন ধর্মকে শুধু বিরোধীতা করলে কিছুই হবে না, একে একেবারে সমূলে উচ্ছেদ করতে হবে।”
এই মন্তব্যে হিন্দুপন্থী নেতা থেকে শুরু করে বিজেপি নেতা, সকলেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এমনকি উধয়নিধির মাথার দামও ঘোষণা করেন হিন্দুত্ববাদীরা। তবে এত কিছুর পরেও উধয়নিধি তাঁর অবস্থানে অনড় রয়েছেন। ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ডিএমকে সুপ্রিমো এমকে স্ট্যালিনও। তিনি বলেছিলেন, “সনাতনে প্রচারিত যে নীতিগুলি সমাজে জাতি, উপজাতি ও মহিলাদের মধ্যে বৈষম্য করে সেই নীতি সম্বন্ধেই কথা বলেছেন উনি (উধয়নিধি)। কোনও ধর্ম বা ধার্মিক বিশ্বাসকে আঘাত করার কোনও অভিপ্রায় তার ছিল না।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন