সোমবার থেকে বাড়ছে চাল, ডাল, মুড়ি সহ একাধিক প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যের দাম। আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল প্যাকেটজাত পণ্যের ওপর জিএসটি বসবে। যার ফলে শুধু শপিং মলেই নয় পাড়ার মুদির দোকানগুলিতেও ঐ পণ্যের দাম বাড়বে।
নির্মলা সীতারমনের ২৮-২৯ জুন বৈঠকের পর ঠিক হয় প্যাকেটজাত পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি বসবে। প্রথমে ঠিক হয় ২৫ কেজি চালের বস্তায় জিএসটি কর বসবে না। কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। কুইন্টাল পিছু চালের দাম বাড়তে পারে ৩০০-৪০০ টাকা। আটার দাম বাড়তে পারে কুইন্টাল পিছু ১২০-৩০ টাকা। রান্নার তেলে লিটার পিছু ৪-৫ টাকা বাড়তে পারে। পাশাপাশি ডাল, রাগি, জোয়ারের দামও বাড়বে।
উল্লেখ্য, নতুন করে জিএসটির আওতায় দাম বাড়বে প্যাকেট করা মাংস, মাছ, দুধ, দই, ঘি, মধু, গুড়, পনির সহ একাধিক পণ্যের। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। কারণ কর্পোরেটদের বিভিন্ন ভাবে ঋণের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সেইখানে সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ওপর জিএসটি বসানো অযৌক্তিক।
চামড়াজাত পণ্য, মাটির ইটের উপর জিএসটি ৫% থেকে ১২% করা হয়েছে। আর এলইডি লাইট, কালি, ছুরি, ব্লেড, চামচ, দুগ্ধজাত যন্ত্রপাতির উপর জিএসটি ১২% থেকে ১৮% শতাংশ করা হয়েছে।
কেরালার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাক বলেছেন, 'দই ও শস্য পণ্যগুলির ওপর ৫% জিএসটি চাপানো উচিত নয়। ৭৫ কেজির নিচে বস্তাবন্দী শস্যের ওপর জিএসটি কর বসলে সমস্যায় পড়বেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর কর প্রত্যাহার করে বিলাসবহুল পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধি করা হোক'।
এদিকে একাধিক পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে জিএসটি আরোপের প্রতিবাদে শুক্রবার ধর্মঘটে শামিল হয়েছিল কর্ণাটকের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন। কৃষি ক্রয় বিপণন কমিটি (এপিএমসি), কমিশন এজেন্ট, ক্রেতা, ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলির ডাকে শুক্রবার বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে খাদ্যশস্যের উপর ৫ শতাংশ জিএসটি আরোপের বিরুদ্ধে বনধ পালন করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন