প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনল সিপিআই(এম)। আগামী ২৪ জুন ত্রিপুরার ৪টি বিধানসভায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে ত্রিপুরা সিপিআই(এম)।
ঠিক কি ঘটেছিল? স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর তুলে ধরে সিপিআইএম অভিযোগ করে, নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেও MGNREGA এবং UJJWALLA প্রকল্পের বিষয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যবাসীর সাথে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকার করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। এটি আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন। সেই অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য কমিশনকে চিঠি লিখেছে সিপিআই(এম)।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে লেখা চিঠিতে ত্রিপুরার সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান, "এই প্রোগ্রামটি করার মাধ্যমে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন। 'পার্টি ইন পাওয়ার' শিরোনামের অধীনে ধারা VII-এর ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যা স্পষ্টতই 'অফিসিয়াল মিডিয়ার অপব্যবহার'। দেশের সর্বোচ্চ মর্যাদাবান ব্যক্তি যদি গণতান্ত্রিক চর্চার ন্যূনতম রীতিনীতি লঙ্ঘন করেন, তাহলে দেশে তথাকথিত গণতন্ত্রের আর কী অবশিষ্ট থাকে?"
বাম নেতা আরও বলেন, ওই সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানটির বিস্তারিত সম্প্রচার করার জন্য রাজ্যের সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর বার্তা যাতে সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছায় সেই জন্য নানা জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন এবং মিডিয়াকেও বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে এর আগেও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল সিপিআই(এম)। মানিক সাহার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে শো-কজ নোটিশ পাঠায় নির্বাচন কমিশন। মূলত নির্বাচনী প্রচারে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের কারণেই সিপিআই(এম)-এর তরফে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে রবিবার কমিশনের একটি নোটিশে বলা হয়েছে, কোনো মন্ত্রী সরকারি কাজ এবং নির্বাচনী প্রচার একত্রে করতে পারবেন না। সরকারি গাড়ি কোনোভাবেই রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন