সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বাড়ির গণেশ পুজোতে আরতি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ছবি প্রধানমন্ত্রী নিজেই পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি।
আরতি করার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, "ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় মহাশয়ের বাসভবনে গণেশ পুজোয় যোগ দিয়েছিলাম। ভগবান শ্রী গণেশ আমাদের সকলকে সুখ, সমৃদ্ধি দিন। এবং সুস্থ স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ করুন"।
তারপরই বিরোধীদের তরফ থেকে কটাক্ষ শুরু হয়। উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর সাংসদ সঞ্জয় রাউত লেখেন, "দেখুন, এটা গণেশ পুজো ছিল। প্রধানমন্ত্রী এ পর্যন্ত কতজনের বাড়িতে গিয়েছেন? আমার কাছে তথ্য নেই। দিল্লিতে অনেক জায়গায় গণেশ উৎসব পালিত হয়, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রধান বিচারপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি একসাথে আরতি করেছিলেন। সংবিধান রক্ষক যদি এইভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে দেখা করেন তাহলে স্বাভাবিকভাবে মানুষের মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি হবেই।"
তিনি আরও লেখেন, "যদি আদালতে কোনও মামলা ওঠে আর সেটি বিজেপি রাজনৈতিক দল সংক্রান্ত তাহলে প্রধান বিচারপতির রায় নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। কারণ এই ধরণের ছবি দেখে সেই সন্দেহই প্রথমে করা হবে। তাই আমার মনে হয় চন্দ্রচূড় মহাশয়ের এমন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।"
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝাও। তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি তাঁর বাড়িতে গণেশ পুজো করতেই পারেন। সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু সেখানে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে একসাথে দেখা গেল, তা জনসাধারণের মধ্যে একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিতে পারে।" একই অভিযোগ কংগ্রেস নেতাদেরও।
যদিও প্রধান বিচারপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একসাথে আরতি নিয়ে কোনো আপত্তিকর বিষয় দেখতে পাচ্ছেন না বিজেপি নেতারা। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির মধ্যে সুসম্পর্ক ও সৌজন্য মেনে নিতে পারছেন না। কারণ এটা হিন্দুদের উৎসব।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন