গণেশ চতুর্থী উদযাপনের একাধিক ছবি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে মুছে ফেলার 'শাস্তি' পেলেন এক সরকারি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। গ্রেফতার করা হল ওই অধ্যক্ষকে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটায়। পুলিশ সূত্রে খবর, কোটার লাতুরিতে অবস্থিত এক সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয় কিছু বাসিন্দাদের নিয়ে একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। গ্রুপের অ্যাডমিন বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপ্যাল শফি মহম্মদ আনসারি। অভিযোগ, গণেশ চতুর্থীর দিন গ্রুপে স্থানীয় বাসিন্দা এবং শিক্ষকদের পোস্ট করা শুভেচ্ছা বার্তা ডিলিট করে দেন প্রিন্সিপ্যাল।
জানা যায়, শনিবার গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রথমে ওই গ্রুপে একটি মেসেজ করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। সেই মেসেজটি ডিলিট করেন প্রিন্সিপ্যাল শফি মহম্মদ আনসারি। কয়েকঘন্টা পর এক শিক্ষক একই ধরণের মেসেজ করেন। কিন্তু তাঁরও মেসেজ ডিলিট করে দেন ওই প্রিন্সিপ্যাল। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় বাসিন্দা, অভিভাবকদের মধ্যে।
প্রিন্সিপ্যালের গ্রেফতারি ও অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। কেন তিনি গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা বার্তা ডিলিট করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন তাঁরা। ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যার ভিত্তিতে অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রামের শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন