লাক্ষাদ্বীপকে বাঁচানোর আর্তি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর দক্ষিণপন্থী সংগঠনের আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন অভিনেতা পৃথ্বীরাজ। অভিনেতাকে সমর্থন জানিয়ে এবার তাঁর পাশে এসে দাঁড়ালেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল প্যাটেলের বিরোধিতায় অনলাইন প্রচার শুরু করে সেখানকার বাসিন্দারা। দক্ষিণী অভিনেতা পৃথ্বীরাজের কাছেও সেই বার্তা পৌঁছেছিল।
ফেসবুকের মাধ্যমে লাক্ষাদ্বীপের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিনেতাও। এরপরই শুরু বিপত্তি। ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে শুরু করে হুমকি- কোনোটাই বাদ থাকেনি। একেরপর এক কুরুচিকর আক্রমণ শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ব্যাপারে অভিনেতা নিজে মুখ না খুললেও, তাঁর সহকর্মীরা পৃথ্বীরাজের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজয়ন বলেন, সঙ্ঘ পরিবার অভিনেতার বিরুদ্ধে অসহিষ্ণু মনোভাব দেখিয়েছে। যা তারা সকলের প্রতিবারই দেখিয়ে থাকে। আরও মানুষ এগিয়ে এসে পৃথ্বীরাজের সমর্থনে মুখ খোলা উচিত। কারণ, দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতি কেরলের মানুষের প্রকৃতিগতভাবে টান রয়েইছে। সেই টান থেকেই কেরল অভিবাসী লাক্ষাদ্বীপের অভিনেতা নিজের আবেগ ব্যক্ত করেছেন। রাজ্যে বসবাসকারী যে কোনও মানুষেরই এই আবেগ বেরিয়ে আসা স্বাভাবিক।
শুধু মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নই নন, অভিনেতার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা। পৃথ্বীরাজের মতো মানুষদের এগিয়ে এসে সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে ভয় না পেয়ে মুখ খোলা উচিত। লোকসভার সদস্য টিএন প্রথাপন, প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক কাদাকামপাল্লী সুরেন্দ্রনও অভিনেতাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা সুরেশ গোপীও পৃথ্বীরাজের মনোভাবকে সমর্থন জানিয়েছেন। কারুর কোনও ক্ষতি না করে সমালোচনা করতে এগিয়ে আসার আহ্বানও তিনি সাধারণ মানুষকে জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন