শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিজেপি মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ‘গড়’ গোয়ালিয়রে মিছিল-সমাবেশ করে মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অন্যান্য বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতাদের প্রকাশ্যে ‘চোর’ বলার অভিযোগ করে দেশের রাজনীতিতে শালীনতার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সোনিয়া-কন্যা। মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকেও কটাক্ষ করেন তিনি।
আগামী নভেম্বর মাস নাগাদই বিধানসভা নির্বাচনের ঘণ্টা বাজবে মধ্যপ্রদেশে। নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ না হলেও শুক্রবার গোয়ালিয়রের সভা থেকেই নির্বাচনী প্রচারের ফিতে কাটল কংগ্রেস। গোয়ালিয়র প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা বর্তমানে বিজেপি সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০২০ সালে ২২ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে গেরুয়া শিবিরে গিয়ে আশ্রয় নেন সিন্ধিয়া। যার ফলস্বরূপ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মধ্যপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। 'অপারেশান লোটাসের' ধাক্কায় পতন হয় নির্বাচিত কংগ্রেস সরকারের। তারপর এই প্রথম গোয়ালিয়রে গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য সভা করলেন।
এদিন সভার শুরুতে মধ্যপ্রদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী রানী লক্ষ্মীবাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তারপরেই মণিপুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭৭ দিনের নীরবতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে ডুবে থাকা ও রাজ্যের মানুষকে পর্যাপ্ত চাকরির জোগান দেওয়ার ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিনের সভা থেকে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বিদ্রুপ করতেও ছাড়েননি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
তবে সাম্প্রতিককালের মধ্যে প্রিয়াঙ্কার মধ্যপ্রদেশ সফর এই প্রথম নয়। গত মাসেই ১২ জুন জবলপুরে একটি সভা করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী। সেই সভা থেকে তিনি জানান, “যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে তাহলে রাজ্যের মানুষের জন্য পাঁচটি প্রকল্প নিয়ে আসা হবে। রাজ্যের মানুষকে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা, প্রত্যেক মহিলার জন্য মাসে ১৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ও ‘ওল্ড পেনশন স্কিম’ পুনরায় কার্যকর করা হবে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন