অক্ষয় কুমারের বিজ্ঞাপনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে তীব্র কটাক্ষের শিকার হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ পণ প্রথার প্রচার করা হয়েছে ওই বিজ্ঞাপনে। রাজনৈতিক স্তরেও এই বিজ্ঞাপনের তীব্র নিন্দা শুরু হয়েছে।
দিন দিন বাড়ছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। এর জেরে মৃত্যুর সংখ্যাটাও বাড়ছে। অনেকের মতে গাড়িতে অত্যাধুনিক সরঞ্জামের ব্যবস্থা থাকলে মৃত্যুর হার কমতে পারে। পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন হতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি একাধিক বিজ্ঞাপন করেন অক্ষয় কুমার। এগুলো নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি। এরই একটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, একজন পিতা তাঁর কন্যাকে বিয়ের পর বিদায় জানাচ্ছেন। তাঁর মেয়ে গাড়িতে উঠে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এমন সময় অক্ষয় কুমার পুলিশ বেশে মেয়েটির বাবার কাছে এসে বলেন এমন গাড়িতে বিদায় জানালে মেয়ে তো কাঁদবেই।
প্রত্যুত্তরে সেই পিতা অক্ষয়কে বলেন এই গাড়িতে কিছুরই ঘাটতি নেই। ৬ টা স্পিকার, ইলেক্ট্রিক সান রুফ এবং অটোমেটিক সিস্টেম সবকিছুই আছে। তখন অক্ষয় কুমার বলেন, কিন্তু এয়ার ব্যাগ মাত্র ২টো তো, ৬টা নেই কেন? দুর্ঘটনা হলে সামনের এয়ার ব্যাগ খুললেও পেছনে বসে থাকা আপনার মেয়ে ও জামাই স্পিকারে গান শুনতে শুনতে টাটা বাই বাই হয়ে যাবে।
এই বিজ্ঞাপন নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ, এর মাধ্যমে সরকারি ভাবে পণপ্রথাকে প্রমোট করা হচ্ছে। তাঁদের কথায়, 'পথসুরক্ষার বিষয়টি কি অন্য ভাবে বোঝানো যেত না?’
এই বিজ্ঞাপন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শিবসেনা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। তিনি লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনটি সত্যি সমস্যা যুক্ত। কারা বানায় এইসব ধরণের বিজ্ঞাপন? সরকার কি গাড়ি নিরাপত্তার জন্য অর্থ ব্যয় করছে নাকি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যৌতুক নেওয়ার মতো অপরাধমূলক প্রথাকে প্রচার করছে?’
সম্প্রতি টাটা কোম্পানির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে মোটরগাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। সেই সাথে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করিও ৬ টি এয়ারব্যাগযুক্ত গাড়ি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন