লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সোমবার রীতিমতো চমক দিয়ে সিএএ চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মোদী সরকার। সোমবার গোটা ভারতে সিএএ কার্যকর করার ঘোষণা করেছে অমিত শাহ-র অধীনস্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর এই সিএএ লাগু হওয়ার পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে আসামে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বনধের ডাক দিয়েছে সেরাজ্যের ১৬ টি বিরোধী দলের একটি মঞ্চ। পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার।
সোমবার সন্ধ্যায় সিএএ কার্যকর হওয়ার পর থেকেই কার্যত বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে আসামের ১৬ টি ছোট-বড় একাধিক আঞ্চলিক দল এবং কংগ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় দলের ইউনাইটেড অপোজিসন ফোরাম (ইউওএফএ) নামের একটি মঞ্চ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওই মঞ্চের ডাকে বনধ চলছে আসামে। যার জেরে পুরো রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভের পরিস্থিতি।
আসামের ছাত্র সংগঠন আসু ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সিএএ-র বিরুদ্ধে তারা আদালতের ভিতরে এবং বাইরে লড়াই চালাবে। অন্যদিকে প্রকাশ্যে আইনে কপি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আসামের গুয়াহাটি, কামরূপ, বরপেটা, লখিমপুর, নলবাড়ি, ডিব্রুগড়, তেজপুরে প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হয়েছে।
যদিও ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে আসাম সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারের পক্ষ থেকে ওই ১৬ টি রাজনৈতিক দলের ডাকা বনধকে ‘অবৈধ এবং অসাংবিধানিক’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর একটি মামলায় গুয়াহাটি হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বনধকে ‘অবৈধ ও অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, প্রতিবাদের জন্য সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি হলে, তার ক্ষতিপূরণ আন্দোলনকারীদের দিতে হবে। সেই রায়কেই হাতিয়ার করে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, এই বনধ রুখতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছেন, সিএএ রুপায়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-আন্দোলন চলতে থাকলে রাজনৈতিক দলগুলি স্বীকৃতি হারাতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন