মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং জেলাভিত্তিক সামাজিক অগ্রগতি সূচকের রিপোর্ট SPI (Social Progress Index)। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়। রিপোর্টে একদম শীর্ষে রয়েছে পুদুচেরি, নবম স্থানে রয়েছে বাম শাসিত কেরল। এই দুটি রাজ্যই 'খুবই উচ্চ সামাজিক অগ্রগতি' অর্জনকারী শ্রেণিতে রয়েছে। তালিকার সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে ঝাড়খণ্ড।
সামাজিক অগ্রগতির সূচকের ভিত্তিতে রাজ্যগুলির ছয়টি শ্রেণি তৈরি হয়েছে। ১) খুবই উচ্চমানের সামাজিক অগ্রগতি, ২) উচ্চমানের সামাজিক অগ্রগতি, ৩) মাঝারির মধ্যে উপরের মানের অগ্রগতি, ৪) মাঝারি থেকে নিম্ন মানের সামাজিক অগ্রগতি, ৫) নিম্ন মানের সামাজিক অগ্রগতি এবং ৬) খুবই নিম্ন মানের সামাজিক অগ্রগতি।
ইনস্টিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড সোশ্যাল প্রোগ্রেস ইমপারেটিভ দ্বারা SPI রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। এরপর সেটি জমা দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদে। রিপোর্ট অনুযায়ী, উচ্চ মানের সামাজিক অগ্রগতির তালিকায় প্রথম স্থানে থাকা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি পেয়েছে ৬৫.৯৯ নম্বর। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ (৬৫.৮৯), তৃতীয় স্থানে রয়েছে গোয়া (৬৫.৫৩)।
তালিকার চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে সিকিম (৬৫.১০) এবং মিজোরাম (৬৪.১৯)। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে তামিলনাড়ু (৬৩.৩৩), হিমাচল প্রদেশ (৬৩.২৮) এবং চণ্ডীগড় (৬২.৩৭)। নবম স্থানে রয়েছে কেরল (৬২.০৫)।
নিম্ন মানের সামাজিক অগ্রগতির তালিকায় রয়েছে - উত্তরপ্রদেশ (৪৯.১৬), ওড়িশা (৪৮.১৯) এবং মধ্যপ্রদেশ (৪৮.১১)। খুবই নিম্ন মানের সামাজিক অগ্রগতি সম্পন্ন রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে - আসাম (৪৪.৯২), বিহার (৪৪.৪৭) এবং ঝাড়খণ্ড (৪৩.৯৫)। মাঝারি থেকে নিম্ন মানের সামাজিক অগ্রগতির তালিকায় নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং গুজরাট এবং হরিয়ানার।
সরকারের মতে, ১২টি উপাদানের উপর ভিত্তি করে তৈরি এই সূচকটি মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের উপর রাজ্য এবং জেলাগুলির মূল্যায়ন করেছে। সেগুলি হল - মানুষের মৌলিক চাহিদা, সুস্থতার ভিত এবং সুযোগ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন