ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। শনিবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। যেভাবে তিনি ক্রমাগত জাতীয় নিরাপত্তা এবং পাকিস্তান বিরোধী বক্তব্যের কথা উল্লেখ করছেন, তাতে পাঞ্জাবের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হচ্ছে।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরপরই অমরিন্দর সিং পাঞ্জাব কংগ্রেস প্রধান নভজ্যোত সিং সিধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ করেন এবং এমনকি তাকে "দেশবিরোধী" বলেও অভিহিত করেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, তাঁর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের বিজেপির লোকসভা সাংসদ এবং মোদী সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী সোম প্রকাশ বলেন, “কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়ে মেনে নিয়েছে যে পাঞ্জাবে তার সরকার সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে”। তিনি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে মাফিয়া, দুর্নীতি এবং অবৈধ খনি খনকারীদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও করেছেন। কিন্তু একইসঙ্গে সোম প্রকাশ বলেন, “অমরিন্দর সিং সিধু সম্পর্কে যা বলছেন তা সত্য এবং সবাই তা জানে।"
ক্যাপ্টেন বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোম প্রকাশ বলেন, “রাজনীতিতে কী হবে, কেউ জানে না।" এও বলেন যে, দলীয় হাইকমান্ড এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে – অমরিন্দর সিং সেটাই করেছেন।
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সর্দার আরপি সিং বলেন, “ক্যাপ্টেন সাহেবকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি গান্ধী পরিবারের মোহতে আবদ্ধ থাকবেন কিনা অথবা পরবর্তী পরিকল্পনা কি করবেন।" তিনি আরও যোগ করেন যে, যদি অমরিন্দর সিং বিজেপিতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহলে দল উপযুক্ত সময়ে আহ্বান জানাবে। তবে এই মুহুর্তে এত তাড়াতাড়ি এসব বলা মুশকিল।"
প্রসঙ্গত, জোট ছাড়ার পর প্রথমবারের মতো বিজেপি পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়তে চলেছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বিজেপির কোনও শক্তিশালী মুখ নেই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরাও মনে করেন, অমরিন্দর সিংয়ের মতো নেতাকে পেলে বিজেপি উপকৃত হতে পারে, যেমনটা আসামে হয়েছিল।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন