পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্তঃকলহ ক্রমশই জটিল হচ্ছে। যেভাবে রাজ্যের একজন মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে তাতে অসন্তুষ্ট রাজ্য কংগ্রেসের একাংশ। এমনকি কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী জি-২৩ এর নেতারাও বিরক্ত। জি-২৩ গোষ্ঠীর এক নেতার কথায়, “তিনজন জল্লাদকে এখানে পাঠানো হয়েছে। একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যিনি দুটি আসনে হেরে গেছেন। দিল্লির এক নেতা, যিনি পরপর নির্বাচনে শূন্য স্কোর করে আসছেন, যার মুখ্যমন্ত্রী পদের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা নেই।”
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে অমরিন্দর সিং-এর নেতৃত্বে কংগ্রেস ১১৭ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় ৮০ টি আসন পেয়েছে। বেশিরভাগ অসন্তুষ্ট নেতারা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছেন এবং তাঁর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু একই সাথে প্রকাশ্যে কথা বলা থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন।
শনিবার মধ্যরাতে কংগ্রেসের আইসভার সদস্যদের (CLP) বৈঠক হয়। সূত্র অনুযায়ী, কংগ্রেস অমরিন্দর সিংয়ের প্রতিবাদ প্রত্যাশা করেনি এবং সবাই ভেবেছিলেন যে তিনি সিএলপিতে (CLP) যোগ দেবেন এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতামতে সহমত পোষণ করবেন। কিন্তু তিনি সিএলপির বৈঠকের আগেই পদত্যাগ করেন এবং এই সভায় যোগ দেননি।
শুধু তাই নয় পদত্যাগের পর তিনি নভজ্যোত সিং সিধুকে দেশবিরোধী, বিপজ্জনক, অস্থিতিশীল, অযোগ্য এবং রাজ্য এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেন। অমরিন্দর সিং এও বলেন যে, পাঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতিকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য যে কোনও পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন।
তিনি এও স্পষ্ট করে বলেন যে, তাঁর রাজনীতি ছাড়ার কোনও ইচ্ছে নেই। তাঁর কথায় – “সিধুকে সমর্থন করার প্রশ্নই ওঠে না, যার সাথে স্পষ্টভাবে পাকিস্তানের সম্পর্ক আছে এবং পাঞ্জাব ও দেশের জন্য যা একটি বিপদ।” তিনি আরও বলেন - “আমি এমন একজন মানুষকে আমাদের ধ্বংস করতে দিতে পারি না, আমি তার খারাপ বিষয়গুলির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”
- With inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন