Rafale Scam: ফ্রান্সে শুরু তদন্ত, রাফালে দুর্নীতির ‘সংসদীয় তদন্ত’ চায় বিরোধীরা

অভিযোগ, অফসেট মূল্য হিসাবে অনিল অম্বানির সংস্থাকে টাকা দেওয়া হয়েছে। বিমান নির্মাণে কোনও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও আম্বানির সংস্থাকে ‘সহযোগী’ করতে দাসাউ বাধ্য হয়েছে।
Rafale Scam: ফ্রান্সে শুরু তদন্ত, রাফালে দুর্নীতির ‘সংসদীয় তদন্ত’ চায় বিরোধীরা
গ্রাফিক্স- নিজস্ব
Published on

একদিকে রাফাল দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে, সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরাও। মোদি সরকারের ২০১৬ সালের ওই বরাত নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ফ্রান্সের সরকারি তদন্তকারী সংস্থা পিএনএফ’র অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা জানিয়েছে, দুর্নীতি, প্রভাব খাটানো, বেআইনি অর্থ লেনদেন, পক্ষপাতমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

রবিবার সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো বলেছে, ফরাসি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই চুক্তির সরকারি নথিতে দেখা যাচ্ছে, বিমান নির্মাতা দাসাউ অ্যাভিয়েশন ও অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপ ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ চুক্তি করেছিল। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদির নতুন বরাত ঘোষণা ও হ্যালকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার ১৫ দিন আগেই। বামেরা আগেই এই প্রসঙ্গ তুলেছিল। তা এবার প্রমাণিত হল। আগের বরাত থেকে মোদির হঠাৎ বদলের পিছনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সিপিআই(এম) ২০১৮-র সেপ্টেম্বরেই প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের ভূমিকা ও গোটা বরাত প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছিল। ফের সেই দাবিই জানাচ্ছে।

রাফালে বরাত নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল। বিমান কেনার জন্য কথাবার্তা চলছিল ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই। ২০১৫-র এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী মোদি ফ্রান্স সফরে গিয়ে হঠাৎ ঘোষণা করেন আগের আলোচনার বদলে ৩৬টি রাফালে বিমান কেনা হবে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ফরাসি সংস্থার কাছ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকায় ৩৬টি বিমান কেনার চুক্তি হয়। ইউপিএ আমলে যখন কথা হয়, তখন ১২৬টি বিমানের জন্য দাম ধার্য হয়েছিল ৪২ হাজার কোটি টাকা। মোদির আমলে মাত্র ৩৬টি বিমানের দাম হয় ৬০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, বিমানপিছু দাম দাঁড়ায় ৫৭০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৬৭০ কোটি টাকা। ইউপিএ আমলে ঠিক হয়েছিল ১০৮টি বিমান ভারতে হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিকস তৈরি করবে। মোদির চুক্তিতে তা বাতিল হয়ে যায়। সরকারি স্তরে চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও ফরাসি সরকার কোনও ‘সার্বভৌম গ্যারান্টি’ দেয়নি।

অভিযোগ, অফসেট মূল্য হিসাবে অনিল অম্বানির সংস্থাকে টাকা দেওয়া হয়েছে। বিমান নির্মাণে কোনও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও আম্বানির সংস্থাকে ‘সহযোগী’ করতে দাসাউ বাধ্য হয়েছে। ২০১৭সালে দাসাউ এবং রিলায়েন্স মিলে যৌথ উদ্যোগের কোম্পানি দাসাউ রিলায়েন্স এয়ারোস্পেস লিমিটেড তৈরি হয়। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারণ ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ইনস্টাগ্রামে একটি ব্যঙ্গাত্মক ছবির সঙ্গে ক্যাপশন দিয়েছেন: ‘চোরের দাড়ি’। লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীই।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in