রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। রাহুল গান্ধী নিজেই এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিরোধী দলনেতার দাবি, ইডির ভেতরের লোকই তাঁকে একথা জানিয়েছেন। সংসদে তাঁর ‘চক্রব্যূহ’ মন্তব্যের জন্যই নাকি এই অভিযান হতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫২ মিনিটে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, “আপাতদৃষ্টিতে, ২ জন আমার চক্রব্যূহ বক্তৃতা পছন্দ করেননি। ইডির ভেতরের লোকেরাই আমাকে জানিয়েছেন আমার বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমি দুহাত বাড়িয়ে ওঁদের জন্য অপেক্ষা করে আছি। চা এবং বিস্কুটও প্রস্তুত আছে।“
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই লোকসভায় বাজেট বক্তৃতায় অংশ নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে তুলোধোনা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। মহাভারতের 'চক্রব্যূহ' ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, কৃষক, শ্রমিক এবং যুবকদের 'চক্রব্যূহ' ঘিরে রেখেছে।
তিনি বলেন, "হাজার বছর আগে কুরুক্ষেত্রে ছয় জন মিলে অভিমন্যুকে একটি 'চক্রব্যূহ'-তে আটকে মেরে ফেলেছিলেন। আমি একটু গবেষণা করে জানতে পেরেছি যে 'চক্রব্যূহ'কে ‘পদ্মব্যূহ’-ও বলা হয়ে থাকে। এর 'পদ্মের মতো গঠন' বলে। একবিংশ শতাব্দীতে একটি নতুন 'চক্রব্যূহ' তৈরি হয়েছে। এটির আকারও পদ্ম। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বুকে প্রতীকটি পরেন। অভিমন্যুর সাথে যা করা হয়েছিল, ভারতের যুবক, কৃষক, মহিলা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সাথে তাই করা হচ্ছে। অভিমন্যুকে হত্যা করেছিলেন ছয়জন। আজকের 'চক্রব্যূহ'-এর কেন্দ্রেও ছয়জন রয়েছেন। ছয়জন ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করছেন - নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, মোহন ভাগবত, অজিত ডোভাল, আম্বানি এবং আদানি।“
বিরোধী দলনেতার কোথায়, বর্তমান এই চক্রব্যূহ কোটি কোটি মানুষের ক্ষতি করছে। তাঁর এই মন্তব্যে তৎক্ষণাৎ আপত্তি জানান স্পিকার ওম বিড়লা।
মঙ্গলবার সংসদে রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তাঁকে কুৎসিত আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, কিছু লোক 'দুর্ঘটনাজনিত কারণে হিন্দু' এবং মহাভারত সম্পর্কে তাদের জ্ঞানও দুর্ঘটনাজনিত। তিনি আরও বলেন, “যাঁর নিজের জাতের ঠিক নেই, তিনি আবার জাত গণনার দাবি তুলছেন!"
অনুরাগ ঠাকুরের এই জাত-মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও, এই মন্তব্যের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন