মধ্যপ্রদেশে আদিবাসী ব্যক্তির উপরে স্থানীয় বিজেপি নেতার প্রস্রাব করার ঘটনায় মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মোদী সরকারের তীব্র নিন্দা করে তিনি জানান, “বিজেপি সরকারের আমলে দেশে আদিবাসী ও দলিতদের উপর অত্যাচার হু হু করে বেড়েছে। এবং বিজেপি নেতার এই অমানবিক কাজ আদিবাসী ও দলিতদের প্রতি বিজেপির ঘৃণা প্রদর্শন করে।”
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি দোকানের সামনে বসে থাকা এক আদিবাসী যুবকের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর মুখে প্রস্রাব করছেন এক ব্যক্তি। মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় বিজেপি নেতা বলে জানা গিয়েছে। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই এই ‘অমানবিক’ ঘটনার পরে বিজেপিকে নিয়ে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশের বিরোধী মহলে। মঙ্গলবারই কংগ্রেস ওই ব্যক্তির গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেছিল, যে বিজেপি দেশের মানুষের অধিকার নিয়ে এত কথা বলে তাদের আসল চেহারা আর মানসিকতা এই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। যদিও অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে ইতিমধ্যেই দায় ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছে মধ্যপ্রদেশ বিজেপি। মঙ্গলবার মধ্যরাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার এই ঘটনা নিয়ে সরব হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধীও। টুইটারে তিনি এ নিয়ে লিখেছেন, “বিজেপির শাসনকালে আদিবাসী ভাই-বোনেদের প্রতি এই অত্যাচার বেড়েই চলেছে। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতার ওই অমানবিক অপরাধের জন্য আজ গোটা মানবজাতি লজ্জিত। এটাই হল আদিবাসী ও দলিতদের প্রতি বিজেপির আসল চেহারা আর মানসিকতা।” মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ এই ঘটনা নিয়ে জানিয়েছেন, “এই ঘটনা দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের অপমান। ক্ষমতার নেশায় বুঁদ বিজেপি মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না।”
বুধবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নির্দেশে প্রবেশ শুক্লা নামের অভিযুক্ত ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এক আধিকারীক সূত্রে খবর, ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ভারতীয় সংবিধানের ২৯৪, ৫০৪ নং ধারা এবং তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) অ্যাক্টের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন